নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে 'বন্ধু' হিসেবে ভরসা করেন। তিনিও জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের 'বন্ধু' থাকবেন। বাইরের লোক যতই এই বন্ধুত্ব নিয়ে 'গসিপ' করুক, একদিন সব ভুল প্রমাণিত হবে। বুধবার ২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করলেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু তাই নয়, এদিন সাক্ষাতকারের সময় বৈশাখীর কথায় উঠে আসে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির জেরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের 'স্ট্রাগল'-এর কথা। তিনি বলেন, একসময় জামাকাপড় পর্যন্ত ছিল না শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। ছিল না খাবারও। নিজে হাতে সে সময় তিনি মেয়রকে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানান বৈশাখী।


বৈশাখীকে 'পারিবারিক বন্ধু' বলে উল্লেখ করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২৪ ঘণ্টার কাছে তুলে ধরেন তাঁদের বন্ধুত্ব ঠিক কতটা 'পারিবারিক'। বৈশাখী বলেন, মেয়র, মেয়রের স্ত্রী ও তিনি এক টেবিলে বসে খাবার খেয়েছেন। তাঁদের বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেয়র সপরিবারে এসেছেন। তিনিও মেয়রের বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এমনকি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই রাত ২ টোর সময় তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক। তাই এতকিছুর পর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের তাঁকে 'অস্বীকার' করাকে রত্নার 'স্মৃতিভ্রংশ' হওয়া বলেই কটাক্ষ করেন বৈশাখী।


আরও পড়ুন, "বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ শোভনবাবুর, পারিবারিক বন্ধু নয় বৈশাখী", অকপট রত্না


বিস্ফোরক বৈশাখী এদিন আরও জানান, তাঁর সামনেই বিভিন্ন অর্থনৈতিক ইস্যুতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝামেলা হত রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। এই অধ্যাপিকার দাবি, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের লালসার জন্যই সমস্যায় পড়তে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। জনপ্রতিনিধির স্ত্রীকে যে অনেক মেপে চলতে হয়, এদিন সে কথাও বলেন বৈশাখী।


বৈশাখী জানান, ইডি-সিবিআইয়ের ফাইল গোছাতে বসলেই মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন 'শান্ত' প্রকৃতির মানুষ শোভন চট্টোপাধ্যায়। রত্নাদেবী তাঁকে ঠকিয়েছে বলে চিত্কার করে অভিযোগ করতেন মেয়র। তাঁর সামনেই চলত সাংসারিক অশান্তি। এক কঠিন সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জীবনের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন বলে জানান বৈশাখী।


আরও পড়ুন, আমৃত্যু শোভনদা'র বন্ধু থাকব, বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন বৈশাখী


তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিজের মোবাইলে 'মা' বলে সেভ করে রাখেন মেয়র। তাই সেই 'মায়ের কথা' বলেই কোনওরকম ভুল পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আটকেছিলেন তিনি।



আরও পড়ুন, তৃণমূলের সঙ্গে মেয়র শোভনের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা