West Bengal Assembly: বিধানসভায় বিক্ষোভে এবার বিধিনিষেধ! কড়া নির্দেশ স্পিকারের..
`সরকার পক্ষের সদস্যরা আমার অনুমতি দিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল আমার থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি`।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: বিধানসভায় বিক্ষোভে, অবস্থানে এবার বিধিনিষেধ! 'লবি বা আম্বেদকর মূর্তির সামনে অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ নয়', কড়া নির্দেশ দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'সরকার পক্ষের সদস্যরা আমার অনুমতি দিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল আমার থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ৩ দিনের কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধরনা বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রীরা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে যখন সেই ধরনায় যোগ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, তখন দুর্নীতি অভিযোগে পাল্টা বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি বিধায়ক। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।
গতকাল, বৃহস্পতিবার ছিল তৃণমূলের ধরনার কর্মসূচি শেষদিন। বিধানসভা চত্বরে রীতিমতো থালা বাজিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়করা, মন্ত্রীরা। বিধানসভা সিঁড়িতে বসে ফের একই কায়দায় পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওঠে 'চোর চোর' স্লোগানও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিধানসভায় ঢোকে পুলিস।
এদিন শীতকালীন অধিবেশন দ্বিতীয়ার্ধের বিধানসভায় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের নিন্দা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সরকার পক্ষের সদস্যরা আমার অনুমতি দিয়ে তারা ওখানে ধরনা বসেছিলেন। কিন্তু বিরোধী দল আমার থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। সিঁড়ির সামনে বসে, লোকের যাতায়াতকে অবরোধ করেছিল তারা। সেইসঙ্গে এমন অঙ্গভঙ্গি করছিল, এমন উসকানিমূলক আচরণ করছিল, যে আমাদের শান্তিভঙ্গের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল'।
স্পিকার জানান, 'আমি একটা নির্দেশ দিয়ে বলেছি, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমাদের এলাকার মধ্যে কাউকে যদি ধরনায় বসতে হয় বা বৈঠক করতে হয়, আমার কাছে আগাম অনুমতি নিতে হবে'।
এদিকে আজ, শুক্রবার বিধানসভায় শুদ্ধিকরণ অভিযান করল বিজেপি। গত ৩ দিন ধরে যেখানে ধরনা দিচ্ছিলেন তৃণমূলের বিধায়করা, সেই আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে দিলেন বিরোধী দলের বিধায়ক। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Supreme Court | DA Protest: ডিএ আন্দোলনকারীদের বড় ধাক্কা! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ দ্রুত শুনানির আবেদন
আর স্পিকারের নির্দেশ? শুভেন্দু বলেন, 'এটা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ। কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছে। আমরা যেটুকু শুনেছি, বাকিটা অর্ডারের কপি আসতে দিন। যদি নিয়ম এবং মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হয়, যার করার, আমরা করব। এর আগেও করেছি। গতবার আমার, মনোজ টিগ্গাদের সাসপেনশন, দীপক বর্মনদের সাসপেনশন, মিহির গোস্বামীদের সাসপেনশন, এমনি প্রত্যাহার হয়নি, কোর্টের হস্তক্ষেপে হয়েছে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)