নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তাঁর ছবি চলতে দিচ্ছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেতা দেব। ঠিক সাতদিন ফেসঅফে এসেই জবাব দিলেন এসভিএফের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা। দাবি করলেন, দেব সত্যি জেনেও মিথ্যা কথা বলছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত শনিবার জি ২৪ ঘণ্টার ফেসঅফ অনুষ্ঠানে এসে সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর প্রশ্নে দেব বলেছিলেন, সাম্প্রতিক হইচই আনলিমিটেড হাউসফুল হওয়া সত্ত্বেও নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুখে না বললেও তাঁর অভিযোগের তির যে এসভিএফের দিকেই ছিল, তা জলের মতো স্পষ্ট। এমনকি এসভিএফের চাপেই যে শেষ মুহূর্তে তাঁর ছবি মিমি ছেড়ে দিয়েছেন তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নায়ক। নিজের হতাশাও গোপন করেননি। দেব বলেছিলেন,''বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলায় ছবি করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। এখানে কিছু করতে গেলেই একটা লবি থাকে টেনে নামানোর জন্য''। 


ফেসঅফে দেবের সাক্ষাত্কারের ওই অংশটি দেখানো হয়েছিল শ্রীকান্ত মোহতাকে। হালকা শেষে এসভিএফের কর্ণধার বললেন,''সত্যি জেনে মিথ্যা কথা বলছে দেব। হইচই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পেয়েছিল। কিশোর কুমার জুনিয়র চলেছিল ১৪০ হলে। সেখানে হইচই পেয়েছিল ১২৬টি। ব্যোমকেশ ৮১ ও এক যে ছিল রাজা ৭১টি হলেছে। নিজে প্রযোজক হয়েও পরিসংখ্যান না জেনেই বলছে দেব''। বুধবারে হাউসফুল শো হওয়ার পর কেন ছবি নামিয়ে দেওয়া হল? শ্রীকান্তের জবাব, ''এটা পরিবেশকরা বলতে পারবেন। হাউসফুল শো নামিয়ে দেওয়া হতে পারে না''।  


পরিবেশকদের উপরে নিয়ন্ত্রণ নাকি আপনার?  শ্রীকান্ত মোহতার কথায়, ''একদম নয়। ব্যবসা ব্যবসার মতো হয়। যে ছবি চলে তাকে নামানো হয় না। সৃজিতের ছবি পুজোয় ভাল চলে। বারবার পুজোতে প্রমাণ হয়ে এসেছে ব্যোমকেশ দেখতে যান দর্শকরা''। 


পুজোয় একসঙ্গে তিনটে ছবি রিলিজ করে অন্যদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে এসভিএফ কর্ণধার বলেন,''দু'টি ছবি ছিল শহরের দর্শকদের জন্য। আর একটি গ্রামে চালানো হয়েছিল''। বলে রাখি এবার পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল এসভিএফের তিনটি ছবি- ব্যোমকেশ গোত্র, এক যে ছিল রাজা ও ভিলেন।


আরও পড়ুন- 'আমাকে বিজেপির লোক বলেছিল,' জি ২৪ ঘণ্টার ফেসঅফে বিস্ফোরক দেব