শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির পাহাড়প্রমাণ অভিযোগের মধ্যেই এসএসসির নিয়োগ ইন্টারভিউ। ২১ তারিখ হতে চলেছে এই ইন্টারভিউ। দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন প্রথমবার এই ইন্টারভিউ নিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর তাই বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে কমিশন। ইন্টারভিউয়ের নম্বর তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে এসএসসি। কীরকম? কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর দুজন অপারেটর পৃথকভাবে নম্বর তুলবেন ডেটাবেসে। তারপর কম্পিউটারে দুটো নম্বর মিলিয়ে দেখা হবে। যাতে নম্বর তোলার ক্ষেত্রে কোনও ভুল  না হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এসএসসি সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন সিস্টেমে ভুলের জন্য কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। তাই এবার সেইরকম কোনও পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। আপার প্রাইমারির মেধা তালিকা তৈরির জন্য শেষ পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হবে ২১ তারিখ থেকে। মোট ১৫৮৫ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি সার্ভারেই প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয় অকৃতকার্য প্রার্থীদের। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো ১ বা কেউ হয়তো ০ পেয়েছিলেন। 


এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই দেখা গিয়েছে, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ১ বা ০। রিপোর্টে উল্লেখ, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সার্ভারে ৯০৭ জন প্রার্থীর নম্বর বদলানো হয়েছে। যারমধ্যে প্যানেলে নাম রয়েছে ৬৩১ জনের। ওদিকে নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৯৫২ জনের নম্বর বদলানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন, SSC: মেধাতালিকায় নাম থাকলেই চাকরি! নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল এসএসসি


প্রতারণার মাধ্য়মে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ বলেন,'এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা যদি নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।' পাশাপাশি, সিবিআই-কে কড়া নির্দেশও দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, 'যারা যারা শূন্য পেয়েছে, অথচ সার্ভারে পাস করেছে, তাদের নাম জানতে হবে সিবিআইকে।' 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)