জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য চাকরিপ্রার্থীদর সঙ্গে আলোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও তাদের বৈঠক হবে। কিন্তু বিরোধীরা চাইছে না এই চাকরি জট খুলুক। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এভাবেই বিরোধীদের নিশানা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আজ যে সময়ে কুণাল ওইসব কথা বলেন ঠিক সেইসময় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসের সামনে থেকে আন্দোলনকারী টেনে হিঁচড়ে তুলে দেয় পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাদের যন্ত্রণা কীভাবে লাঘব করা যায় তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে সমস্যার দিকগুলি, অর্থাত্ প্রশাসনিক জয়, আইনি এবং টেকনিক্যাল সমস্যার দিকগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে তাতে কেউ না বাধ সেধে বসেন। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এনিয়ে বৈঠকে বসলেন? তিনি কে? এখানে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, দুঃখ হচ্ছে নাকি? সবাই জানেন একট জট হয়েছে। সেটা যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলার চেষ্টা করতে থাকেন তাতে কি কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি দুঃখ হচ্ছে? জট খোলার চেষ্টা বড় কথা নাকি আপনাদের রাজনীতিটা বড় কথা!এদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে।


এসএসসি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপরই ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ  ও নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। এবার তাদের সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে দিল পুলিস। শনিবার একটু বেলা হতেই ডিসি সাউথ ধরনাস্থলে আসেন। চাকরিপ্রার্থীদের অনুরোধ করা হয় তারা যেন উঠে যান। বলে দেওয়া হয় ওই জায়গায় বসে থাকা যাবে না। এলাকায় অনেক অফিস রয়েছে। তাদের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়ে দেন তারা ওই জায়গা থেকে একটুও নড়বেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা বলেই যাবেন।


অভিষেকের জট খোলার চেষ্টা ও বিরোধীদের কুণালের কটাক্ষ নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, কে কোথাকার দালল এসব অভিযোগ করছেন জানি না। তবে আমরা আন্দোলনকারী যুবক যুবতীদের পাশে রয়েছি। এরা নিরুপায় হয়ে আন্দোলনে নমেছে। যারা বড়বড় কথা বলে তাদের উচিত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা । আন্দোলনকারীরা যা করছে তা তাদের অধিকার। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। আমরা চাই রাজনীতির কথা টেনে কেউ যেন গোটা বিষয়টি গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে।  মা মাটি মানুষের সরকার ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের ধোঁকা দিয়েছে। এই সরকার চাইলে কালই এর সমাধান করে দিতে পারে। সবটাই সরকারের হাতে। পাঁচশো দিন পার হয়ে গিয়েছে। এই আন্দোলন চলছে।   


আরও পড়ুন-আবাসনের আনাচকানাচে সিসিটিভি, তবু কোন ফর্মুলায় মজুত বিপুল টাকা 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)