SSC: এভাবে ফুটপাতে বসতে হবে ভাবিনি, লক্ষ্মী সেজে ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে চাকরি প্রার্থীরা
ধরনা মঞ্চে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সংবাদমাধ্য়মে জানতে পারছি কোথায় ৫৭১ দিন কোথাও ৫৭৪ দিন ধরনা চলছে। আমাদের রাজ্যে এত শূন্য পদ রয়েছে। সেইসব শূন্যপদে চাকরি পাবেন চাকরি প্রার্থীরা
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: লক্ষ্মীপুজোয় ঘরে ঘরে চলছে দেবীর আরাধনা। রাজনীতিবিদ থেকে শিল্পী, সবাই মেতে রয়েছে লক্ষ্মীর আবাহনে। আর অন্যদিকে, ধর্মতলায় লক্ষ্মী সেজে ধরনায় চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার ধরনা মঞ্চে চলল পালাগান, পাঠ করা হল পাঁচালি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আজ সাক্ষাত করতে আসেন নাট্য ব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন। চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। চাকরি প্রার্থীদের হাতে লেখা বিভিন্ন ধরনের পোস্টার। কোথায় লেখা এসো মা লক্ষ্মী বসো আমাদের ধরনা মঞ্চে, আমাদের আর কত কষ্ট দেবেন?
আরও পড়ুন- আলপনা দিলেন, নিজের হাতেই বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা সাজালেন অপরাজিতা
লক্ষ্মীরূপী এক চাকরিপ্রার্থী জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, আজ লক্ষ্মীর আরাধনা চলছে। উনি আমাদের ধন, দৌলত, ঐষর্য দিয়ে ভরিয়ে দেন। আজ আমরা লক্ষ্মীর আরাধনা করছি শূন্য ভান্ডার নিয়ে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ সিট আপডেট করে যেন আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্য এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কখনও ভাবিনি হাজার হাজার টাকা খরচ করে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেও ফুটপাতে বলে চাকরি চাইতে হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের এই দিকটার দিকে একটু যেন নজর দেন।
ধরনা মঞ্চে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সংবাদমাধ্য়মে জানতে পারছি কোথায় ৫৭১ দিন কোথাও ৫৭৪ দিন ধরনা চলছে। আমাদের রাজ্যে এত শূন্য পদ রয়েছে। সেইসব শূন্যপদে চাকরি পাবেন চাকরি প্রার্থীরা। এসব আমরা জানি কিন্তু যাদের পাওয়ার কথা নয় তারা চাকরি পাচ্ছেন। যাদের চাকরি পাওয়ার কথা তারা রাস্তায় বসে রয়েছেন। এটা কেমন অবিচার! ধরনা মঞ্চে এসে কৌশিক সেন বলেন, তৃণমূল কতটা দুর্নীতি পরায়ণ তা রাজনৈতিক দলগুলি বুঝে নিক। আমার তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমার বক্তব্য এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যে এইসব চাকরিপ্রার্থীদের দাবিটা যেন নষ্ট হয়ে যায়।
চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা ও কৌশিক সেনার আসা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, কৌশিক সেনকে অনুরোধ করব ত্রিপুরাতেও তো ওঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। ওখানে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে সিপিএম জমানার দুর্নীতিতে। কৌশিক সেনকে অনুরোধ করব ওখানেও উনি গিয়ে শিক্ষকদের ধরনা মঞ্চে যান। কোর্ট বিষয়টি দেখছে। দোষীদের শাস্তি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তখন এসবের মানে হয় না।