SSC Recruitment: পুজোর আগে সুখবর, প্রাথমিকে ৩৯২৯ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০২০ সালে নিয়োগের পর বেশকিছু শূন্যপদ খালি রয়েছে। সেইসব খালি পদে নিয়োগ করা হোক। এনিয়ে মামলা ওঠে আদালতে। মামলা চলাকালীন দেখা যায়, এখনও ৩৯২৯টি পদ শূন্য রয়েছে
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় আজ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন কারণে যেসব চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাদের জন্য পুজোর আগে বড়সড় সুখবর দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ, প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদেই নিয়োগ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পর এখনও ৩৯২৯টি খালি পদ পড়ে রয়েছে। সেইসব পদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল আদালত। এখনও চার হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছেন যারা ওই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। তাদের মধ্যে নথি খতিয়ে দেখে ওইসব পদ নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন-হলুদ শিবিরে ভয়ংকর নীল আতঙ্ক! ভারতের ত্রিফলায় কাঁপুনি অস্ট্রেলিয়ার
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট-এর পর দুবার নিয়োগ হয়। একটি ২০১৬ সালে। সেবার ৪২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। পরেরটি হল ২০২০ সালে। সেসময় শূন্যপদ ছিল ১৬,৫০০। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০২০ সালে নিয়োগের পর বেশকিছু শূন্যপদ খালি রয়েছে। সেইসব খালি পদে নিয়োগ করা হোক। এনিয়ে মামলা ওঠে আদালতে। মামলা চলাকালীন দেখা যায়, এখনও ৩৯২৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ওই খালি পদেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১১ নভেম্বর।
সোমবার প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি নির্দেশ দেন আরও ৬৫ জনকে নিয়োগ করতে হবে। এর আগে ৭৭ জন, ১১২ জন ও ১৮৯ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এ ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কিছু পরীক্ষার্থী। ওই মামলায় ওই প্রশ্নগুলির জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা ফের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। সেই মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারাধীন।