SSC Scam: গ্রুপ সি-র সমস্যা অনেক গভীরে , এসএসসি-র ৩৪৭৮ জনের তালিকায় অনেকের নম্বরেই কারচুপি
SSC Scam:নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দাবি করেছেন, সব জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড কুন্তল ঘোষ। আজ তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড কুন্তল ঘো
অর্নবাংশু নিয়োগী: গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কেউ নম্বর পেয়েছেন ১৩ কিন্তু ওএমআর শিটে তাকে দেওয়া হয়েছে ৪২ নম্বর। আবার কেউ পেয়েছেন ১ এবং তা সর্ভারে বেড়ে হয়েছে ৫৪। এরকমই ভূতুড়ে নম্বরে ভরা গ্রুপ সি-র ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা।
আরও পড়ুন-'কোন তৃণমূল নেতাকে টাকা দিলেন নাম বলুন', হেড ক্লার্কের চাকরি যেতেই স্কুলগেটে বিক্ষোভ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল বিষয়ের বিভাজন অনুযায়ী নম্বর প্রকাশ করতে হবে গ্রুপ সি-র। তারপরই ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তর পরই দেখা যায় ওই ৩৪৭৮ জনে মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্য়ায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল।
এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দাবি করেছেন, সব জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড কুন্তল ঘোষ। আজ তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড কুন্তল ঘোষ। ও মিথ্যে অভিযোগ করে সবাইকে ডাইভার্ট করছে। টাকাগুলো অন্যদিকে সাইড করছে। অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছে। আপনারা খোঁজ নিন। ও যা বলছে সব মিথ্যে কথা। আমি কোনও দুর্নীতিতে জড়িত নই। আগামী দিনে তা প্রমাণ হবে।
বিদ্যুত্ দফতরের সামান্য একজন কেরানি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর যে বিপুল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা দেখে ইডি মনে করছে তা কেবল হিমশৈল্যের চূড়া মাত্র। জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আরও অনেক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাবে। আর সেই কারণেই বলাগড় বিএলআরও অফিসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিচিতদের নামে কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই খতিয়ান হাতে এলেই বোঝা যাবে কোন সালে তা কেনা হয়েছে এবং তার বাজার মূল্য কত।