অর্নবাংশু নিয়োগী: শিক্ষক নিয়োগের চাকরিতে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে। এখনওপর্যন্ত এমনটাই উঠে আসছে সিবিআই-ইডির তদন্তে। এর মধ্যেই তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে চাকরি হয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে নিলেন এক শিক্ষিকা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গ্রুপ ডি-র ওয়েটিং লিস্টেও ওএমআর শিটে কারচুপি, কাউন্সেলিং করতে গিয়ে তাজ্জব কমিশন


সোমাবার ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু বলেন, বেছে বেছে কীভাবে চাকরির সুপারিশ হয়? এসএসটির চাকরি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক সম্পত্তি?  এদিন এভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিচারপতি বসু। তিনি আরও বলেন, কমিশনের নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। এর পাশাপাশি এমন ঘটনা আরও হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।


কেন এমন মন্তব্য বিচারপতির? নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নাম থাকার পরও চাকরি পাননি বলে হাইকোর্টে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, মেধা তালিকায় তাঁর নাম ছিল ৩৩ নম্বরে। কিন্তু তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। তবে মেধা তালিকায় ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষ নামে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। 


কে এই সরম ঘোষ? প্রিয়াঙ্কা দত্ত সমাদ্দারের বক্তব্য, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সরমা ঘোষকে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ওই বছরই ২০ মার্চ তাকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও অবস্থান-বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা। তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে ডেকে কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন সরমাও। ওই সাক্ষাতের পরই তিনি স্কুলে চাকরি পেয়ে যান। সরমাকে মামলায় যুক্ত করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে নেন। ওই কথা শুনেই চটে যান বিচারপতি।


এদিকে, এসএসসির নিয়োগ নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। সোমবারই দেখা গিয়েছে এসএসসির গ্রুপ ডি-র পরীক্ষায় যারা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন তাদের ওএমআর শিটেও জালিয়াতি ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য, ওএমআর শিটে কারচুপির কারণে এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দেয় গ্রুপ ডি-র শূন্যপদ পূরণ করা হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের দিয়ে। তবে তাদেরও ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। 


এদিকে, ওই নির্দেশের পর ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১০০ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকার কথা ভাবা হয়েছিল। ইস্টার্ন রিজিয়নে ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১০০ জনকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখার কাজ শুরু হয়। সেখানেই চমকের পালা। কমিশন নজরে পড়ে ১০০ জনের মধ্যে ষাট জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে। অর্থাত্ ওএমআর-এ এক নম্বর আর কমিশনের ওয়েবসাইটে অন্য নম্বর। নম্বর বাড়িয়ে নাম তুলে দেওয়া হয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটে। এখন ওয়েটিং লিস্টে থাকা মাত্র ৪০ জনের কাউন্সেলিং করবে কমিশন। আগামী ২ মার্চ ওই কাউন্সেলিং হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)