নিজস্ব প্রতিবেদন : জিডি বিড়লা স্কুলের নির্যাতিত শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষায় কোনওরকম দেরি হয়নি। কোনও গাফিলতি হয়নি চিকিত্সাতেও, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করলেন এসএসকেএম-এর অধিকর্তা অজয় রায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, নির্যাতিতা শিশুর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। নিয়ম মেনেই চিকিত্সা চলছে শিশুটির। এধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনি দিকগুলিও মেনে চলা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অজয় রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে শিশুটিকে চিকিত্সা করছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনই শিশুটির কাউন্সেলিংয়ের জন্য কোনও মনোবিদকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। এক্ষুণি কোনও মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। অজয় রায় বলেন, বেশকিছু পরীক্ষা হয়েছে। আরও পরীক্ষা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর হাতে আসবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শিশুকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এসএসকেএম ডিরেক্টর।


আরও পড়ুন, জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের ছাত্রীকে 'যৌন নির্যাতন', অভিযুক্ত পিটি টিচার


কলকাতার নামি জিডি বিড়লা স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই শারীরশিক্ষার শিক্ষক অভিষেক রায়ের বিরুদ্ধে। রাতেই নির্যাতিতা শিশুকে নিয়ে নেতাজি নগর থানায় যায় পরিবার। সেখান থেকে যাদবপুর থানায়। অভিযোগ, বারবার আবেদন সত্ত্বেও প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। ভুল পথে চালনা করা হয়েছে অভিভাবকদের। কোনও পুলিশি নির্দেশিকা ছাড়াই শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের নির্দেশিকা না থাকায় শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে রাজি হননি চিকিত্সকরা।


ফের থানায় গিয়ে সেকথা জানালে অবশেষে অভিযোগ গ্রহণ করে যাদবপুর থানা। পুলিশের নির্দেশিকা নিয়ে সকাল থেকে হাসপাতালে বসে থাকলেও শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা। গাফিলতির সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন এসএসকেএম-এর অধিকর্তা।


আরও পড়ুন, জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনায় দোষীকে কড়া শাস্তির আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর


বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফেরার পর পোশাক পরিবর্তনের সময় শিশুর গোপনাঙ্গে ক্ষত প্রথম নজরে আসে মায়ের। গোপনাঙ্গ থেকে অনর্গল রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানান নির্যাতিতার মা। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার জিডি বিড়লা স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।