অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক কি প্রকাশ্যে এসে গেল? রাজ্যে এসেছেন রাজনাথ। অথচ তাঁর সঙ্গে দেখাই করলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কার্যত এড়িয়েই গেলেন। 


রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি ও পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা রয়েছে বলে মনে করে রাজ্য বিজেপি। দলীয় কর্মসূচিতে এই নেতাদের যাতে না পাঠানো হয়, সেজন্য বছরখানেক আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে আবেদন করেছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, মমতার সঙ্গে জেটলি ও রাজনাথের পুরনো সম্পর্ক। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে নরম অবস্থান নেন তাঁরা। গতবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াননি রাজনাথ সিং। তা নিয়ে গোঁসা হয়েছিল রাজ্য নেতাদের। একবার বিশ্ব বাংলার উদ্বোধনে এসে রাজ্য সরকারের তারিফও করেছিলেন অরুণ জেটলি। গতবার অবশ্য রাজ্য নেতাদের আপত্তিতেই সম্মেলন এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, অরুণ জেটলিক বাংলায় যেতে বারণ করেছিলেন খোদ অমিত শাহ। 


আরও পড়ুন- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির ৪ মুখ


৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়েছিল মাসখানেক আগেই। তা জানা সত্ত্বেও শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মসূচি রাখলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। কেউ কেউ আবার জেলায় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এদিন সকালেই কলকাতা ছাড়েন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নাম কা ওয়াস্তে দেখা করলেন বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেখা করেন কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। অথচ এড়িয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়-সহ দলের শীর্ষ নেতারা। রাজ্য বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন উঠছে, ৫ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য নবান্নকেই কেন বাছলেন রাজনাথ সিং? অসমে তো বিজেপির সরকার। কেন সেই রাজ্যে বৈঠক করলেন না তিনি?  


বিজেপি সূত্রে খবর, এভাবেই রাজনাথ সিংকে বুঝিয়ে দেওয়া হল, মমতার সঙ্গে তাঁর সখ্যতা না-পসন্দ রাজ্য নেতাদের। রাজনীতির বাধ্যবাধকতাই শেষপর্যন্ত অন্তরায় হয়ে উঠল, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।