ওয়েব ডেস্ক: উত্সবের সময় বছরের অন্য সময়ের থেকে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। তখন যাতে কোনও রকম বিদ্যুত্ ঘাটতি না হয়, তার জন্য আগে থেকেই সচেতন হয়েছে বিদ্যুত্ দফতর। বিদ্যুত্ভবনে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এ পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে থেকে কয়লা কিনতে হবে রাজ্যকে। এমন সিদ্ধান্ত কার্যত নজিরবিহীন। কয়লা কিনতে খরচ হবে কোটি কোটি টাকা। বিষয়টি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে। নবান্নের সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বিদ্যুত্ দফতর চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাপ বিদ্যুত্ তৈরি করতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন কয়লার। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই কয়লা ভিজে গিয়েই যত সমস্যার শুরু। তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রে সাধারণত ১৪ দিনের কয়লা মজুত রাখা হয়। সেই ভাঁড়ারেই টান পড়ছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে দু লাখ মেট্রিক টন কয়লার ঘাটতি রয়েছে। সাগরদিঘি তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে তো ২ থেকে ৩ দিনের বেশি কয়লা মজুতই থাকছে না। ফলে মাঝেমধ্যেই বন্ধ করতে হচ্ছে উত্পাদন।


এর পাশাপাশি রাজ্যের বিস্তির্ণ অঞ্চল এ বছর প্লাবিত হয়েছে। এর জেরে বন্ধ রয়েছে রায়গঞ্জ, শিয়াগুড়ি, ভালুকা, খালাকুল, ঘাটাল, ক্ষীরপাই সাবস্টেশন। ফলে উত্সবের আগে রীতিমতো চিন্তায় রাজ্য বিদ্যুত দফতর।


লাগাতার বৃষ্টি-বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব এবার রাজ্যের বিদ্যুত্ ক্ষেত্রে। বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে একের পর এক সাবস্টেশন। মজুত কয়লার যোগানেও পড়েছে টান। এ পরিস্থিতিতে পুজোর মরশুমে বিদ্যুতের বাড়ি চাহিদা মিটবে তো?  রীতিমতো চিন্তায় বিদ্যুত্ দফতর।