নিজস্ব প্রতিবেদন:   দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে এখন মানুষে মানুষে ছয়লাপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রেণু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন, সমবেদনা জানান। কথা বলেন আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গেও। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। বিধানসভায় দেওয়া হবে গানস্যালুট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালেই শোকপ্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত শোকাহত। তাঁর আত্মীয় পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।‘ বেলা সওয়া বারোটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন: ‘খেয়া’ শূন্য করে চলে গেলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়...দেখুন তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ছবি


হাসপাতাল থেকে প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে হাইকোর্টে, তারপর সেখান থেকে দেহ নিয়ে আসা হবে বিধানসভা ভবনে। সেখান থেকে তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। পরে নিজের বাসভবনে, এবং শেষে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে প্রয়াত লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তিনি যেহেতু দেহ দান করে গিয়েছিলেন, তাঁর দেহ এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হবে।  


সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে রাজ্য কমিটির বৈঠক মুলতুবি করল সিপিএম রাজ্য কমিটি। শোকপ্রস্তাব পাঠের পরেই বৈঠক মুলতুবি করে দেওয়া হয়।  সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরেও বেশকিছু রাজনৈতিক বিতর্ক থেকেই গেল। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর প্রবীন নেতাকে দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সচেষ্ট ছিল বঙ্গ ব্রিগেড। কেউ ছিলেন নীরব,কেউ বা প্রকাশ্যেই প্রবীন নেতাকে দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরব হয়েছেন। অনেকে সংস্পর্শ এড়িয়েছেন, কেউ পার্টি লাইনের মধ্যে  থেকেই দলের  নীতিগত অবস্থান নিয়ে সোমনাথ বাবুর হয়েই সওয়াল করেছেন। সবমিলিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর অন্তরালে চলে যাওয়া মানুষটাকে ঘিরে দলের মধ্যেই ছিল নানা মতের সহাবস্থান।সেই বিতর্কের রেশ পড়ল বিদায় দিনেও, সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও।