অঞ্জন রায় ও সুতপা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দিল না রাজ্য সরকার। বিজেপির দফতরে ফ্যাক্স মারফত চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপি চাইলে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সভার অনুমতি মিলতে পারে।   


রাজ্য সরকারের মূল আপত্তি, বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' কর্মসূচি ৪২দিনের। এতদিন ধরে কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। রথযাত্রার নিরাপত্তায় ৫০০০ পুলিস কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে, তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য ওই জায়গা থেকে রথযাত্রার সূচনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। রয়েছে পৌষ মেলাও। এর মাঝে আবার ২৫ থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে থাকবে আনন্দের আবহ। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সামাজিক উত্সবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মত রাজ্যের। সূত্রের খবর, জেলার পুলিস সুপাররা নবান্নকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ। সেই সব এলাকা দিয়ে রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলাপ অবনতি হতে পারে।


তবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সভা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার মাঝে মোদী-শাহকে নিয়ে বিজেপি যে সভার পরিকল্পনা করেছে, সেই গুলি চাইলে করতে পারে বিজেপি। 


রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। রাজ্যে যে বিরোধীদের কর্মসূচি নেওয়ার পরিস্থিতি নেই, সেটাই তুলে ধরবে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের মতে, সময় নষ্টের ফন্দি এঁটেছে শাসক দল।   


উল্লেখ্য, রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে রাজ্য সরকার গড়মসি করায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। ওই মামলায় ধাক্কা খাওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় তারা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তি দেয় বিজেপিকে। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রথযাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির তরফে যে তিন জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন অর্থাত্ মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে আপত্তি ছিল রাজ্যের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব। সেই যুক্তি উড়িয়ে দেয় আদালত। স্পষ্ট জানায়, অপরাধ প্রমাণ না হলে অপরাধী নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকে বসার সময় দেওয়া হয়। সেই মতো লালবাজারে বৈঠক করে আসেন বিজেপি নেতারা।


আরও পড়ুন- ভারতে প্রথম, রেলস্টেশনই পাঁচতারা হোটেল, নীচ দিয়ে যাবে ট্রেন