নিজস্ব প্রতিবেদন: পার্কস্ট্রিট মেট্রো দুর্ঘটনায় মৃত সজল কাঞ্জিলালের বাড়িতে গেলেন বিধায়ক জাভেদ খান ও সাংসদ মালা রায়। রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জোরে ব্রেক কষায় লাইনে পড়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট সজল কাঞ্জিলাল, বলছে প্রাথমিক তদন্ত  


মালা রায় সজলবাবুর পরিবারকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি সজলবাবুর পরিবারের পাশে রয়েছেন। যা ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দেবেন। যদিও এটি রাজ্যের বিষয় নয় তবুও মানুষটাতো রাজ্যের! হঠাত্ একজন সুস্থ্য মানুষ এভাবে চলে গেলেন এটা খুবই দুঃখের।’ অন্যদিকে, জাভেদ খান বলেন, এটা দুর্ঘটনা নাকি গফিলতি তা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। খুবই দুঃখজনক ঘটনবা। বারেবারেই হচ্ছে এই ধরণের কাণ্ড। আশাকরি মেট্রো সাবধান হবে।



সজল কাঞ্জিলালের এক আত্মীয় বলেন, ‘ও মেট্রোর প্রথম বগিতেই ছিল। ট্রেনটা যদি দাঁড়িয়ে পড়ত তাহলে এতবর দুর্ঘটনা হত না। চালক তো শুনলো না। বেরিয়ে গেল।’ অন্য এক আত্মীয় বলেন, দরজায় হাত আটকে গিয়েছে অথচ ট্রেন ছেড়ে দিল। এতো সব যাত্রীদের জন্য বিপদের খবর। এই রেকটা আরও ১০ বছর সার্ভিস দেবে। এবার তো প্রাণ হাতে নিয়ে ট্রেনে চড়তে হবে যাত্রীদের।


আরও পড়ুন-জমি বিবাদের জের, রাজস্থানে পুলিস কনস্টেবলকে পিটিয়ে মারল উন্মত্ত জনতা


উল্লেখ্য, শনিবার পার্কস্ট্রিট স্টেশনে মেট্রোয় উঠতে গিয়ে টোকেন-সহ সজল কাঞ্জিলালের আঙুল আটকে যায় এসি রেকের দরজায়। বাকি শরীর তখন বাইরে। মেট্রো চলতে শুরু করলে দরজার রবার আঁকড়েই ঝুলে থাকেন সজল। টানেলে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকটি কামরা। বিপদ বুঝে আচমকা ব্রেক কষেন মোটরম্যান। লাইনে পড়ে যান ঝুলতে থাকা সজলবাবু। জোরে ব্রেক কষার ফলেই সম্ভবত ভারসাম্য রাখতে পারেননি ৬৬ বছরের ওই ব্যক্তি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অনুমান, পড়ে গিয়ে থার্ড লাইনে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট মৃত্যু হয় তাঁর।