নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের রিলিজ চাইল রাজ্য সরকার। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রিলিজ করে দেওয়া হোক, এমনটাই চায় রাজ্য। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখা হল রাজ্য সরকারের তরফে। প্রশাসন সূত্রে এমন খবর মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি রাজীব কুমারকে কলকাতা পুলিসের কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য। তাঁকে এডিজি সিআইডি পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু গত ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণের আগে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের কাছে ৭-১০ দিনের সময় চাইলেন রাজীব কুমার : সূত্র


রাজীব কুমারকে পাঠিয়ে দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এর পর থেকে সেখানেই দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব কুমার। তবে রবিবার নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার রাজীব কুমারকে সিআইডির পুরনো পদে ফিরিয়ে আনে।


কিন্তু রাজীব কুমার এখনও সেই পদে যোগ দেননি বলে প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। তার কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সরাসরি এভাবে কোনও অফিসারকে নিয়ে আসার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের। এর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিলিজ অর্ডার লাগবে। ওই রিলিজ অর্ডারের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন: সিবিআই দফতরে গরহাজির রাজীব কুমার


কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনারকে নিয়ে যখন এই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছে, তখন রাজীব কুমারকে জেরা করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করছিল সিবিআই। একাধিকবার ডাকার পরও রাজীব কুমার না আসায় তাঁর বাসভবনে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল।


আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধি উঠতেই সিআইডিতে ফিরলেন রাজীব, পুলিসেও বড় রদবদল


তখন রাজীব কুমার কলকাতার পুলিস কমিশনার। সেদিন কলকাতার রাস্তায় সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। এর পর সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। শীর্ষ আদালত রাজীব কুমারকে জেরার অনুমতি দেয়। কিন্তু রাজীবকে রক্ষাকবচ দেয়। আদালত জানায়, সিবিআই এখনই রাজীবের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না।


শিলংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন রাজীব কুমার। কিন্তু সেই জেরার পর্বে রাজীব কুমার সহযোগিতা করেনি বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তোলে সিবিআই। এর পর রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।


আরও পড়ুন: একে মুকুলে রক্ষে নেই, শুভ্রাংশু দোসর, মঙ্গলবার তৃণমূলের হাতছাড়া হচ্ছে ২ পুরসভা?


রাজীবকে সাতদিনের সময়সীমা দেওয়া হয় আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজ্যে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে, তাই আইনি সহায়তা নিতে পারেননি রাজীব কুমার। এর পরই রাজীবের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুরাল জারি করে সিবিআই। তার পরই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিসেও সিবিআইয়ের সামনে হাজির হননি রাজীব কুমার। বদলে তিনি ৭-১০ দিন সময় চেয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে।