অম্বিকেশ মহাপাত্র গ্রেফতারের ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে রাজ্য।  কী কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছিল আজ তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। তিরস্কারের মুখে সরকারি আইনজীবীর জবাব, নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রেফতার করা হয়েছিল অম্বিকেশকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী, মুকুল রায়কে নিয়ে আঁকা কার্টুন ফরওয়ার্ড করায়  দু হাজার বারোয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিস।  স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করে মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা মানেনি রাজ্য।সেই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে ফের পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এরআগে এবছরের মার্চে অম্বিকেশের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিসের ভূমিকায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ক্ষতিপূরণের নির্দেশও বহাল রাখেন তিনি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে ফের পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জানতে চান..


বিচারপতি( জয়মাল্য বাগচী): হেফাজত ও গ্রেফতারের মধ্যে পার্থক্য কী?


সরকারি আইনজীবী : এটা নিরাপত্তার স্বার্থে হেফাজতে নেওয়া


বিচারপতি : পুলিস হেফাজত কি বেশি নিরাপদ?


যদি নিরাপত্তা স্বার্থেই অম্বিকেশকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে তবে, তাঁর জামিন নেওয়ার দরকার হল কেন? কী এমন ঘটল যাতে অম্বিকেশকে গ্রেফতার করতে হল?


দু' সপ্তাহের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনকে এই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরই মামলার পরবর্তী শুনানি।