নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বাজেটের উদ্বোধনী বক্তৃতা ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণের বাইরে গিয়ে, তাঁর মত প্রকাশের অধিকার আছে, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন জনদীপ ধনখড়। সেইমতো ভাষণে কিছু পরিবর্তনের অনুরোধও করেছেন। রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, লিখে দেওয়া বক্তব্যের কোনও পরিবর্তন করা হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল। রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন। নেহাতই সাংবিধানিক রীতি। কিন্তু, তা ঘিরেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। আরও একবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জগদীপ ধনখড়। প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপালের বাজেট বক্তব্যের রূপরেখা তৈরি করে দেয় রাজ্য। সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই পাঠ করার কথা ধনকড়ের। কিন্তু, তা নিয়ে আপত্তি রাজ্যপালের। সেকথা খোলাখুলিই জানিয়েছেন তিনি।


যেমন কথা, তেমন কাজ। সকালেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দেন রাজ্যপাল। চিঠিতে ধনখড় লেখেন,''মন্ত্রিসভা অনুমোদিত ভাষণের যে খসড়া তাঁকে পাঠানো হয়েছে,তাতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে''। কয়েকটি অতিরিক্ত অনুচ্ছেদও যোগর প্রস্তাবও দেন রাজ্যপাল। সরকারের উত্তর আসে বিকেলে। নবান্ন জানিয়ে দেয়,''বাজেট বক্তৃতার যে খসড়া রাজ্যপালকে পাঠানো হয়েছে, তা চূড়ান্ত। ভাষণে কোনও পরিবর্তন সরকার করবে না।'' নবান্নের জবাব আসতেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নতুন মোড়। ধনকড়কে বিজেপির লোক বলে আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা।


শুক্রবার তাহলে কী হবে? রাজ্যের লিখে দেওয়া ভাষণ কী পাঠ করবেন না ধনকড়? সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন,''সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী, রাজ্যের লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করতে বাধ্য রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড়কেও তা মানতে হবে।'' 


কিন্তু, তারমধ্যেও নিজের মত রাখতে পারেন রাজ্যপাল। ঠিক যেমন করেছেন কেরালার রাজ্যপাল। ধনখড়ও আরিফ মহম্মদ খানের পথ অনুসরণ করে সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণের ফাঁকে ফাঁকে নিজের মত প্রকাশ করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ কী হবে? নবান্নসূত্রে খবর, রাজ্যপাল বিতর্কিত কোনও মন্তব্য করলে স্পিকার তা বিধানসভার কার্যবিবরনীতে থেকে বাদ দিতে পারেন।  শেষপর্যন্ত কী হবে? শুক্রবার সবার নজর বিধানসভায়।


আরও পড়ুন- মুকুল ছাড়া গতি নেই, পুরভোটেও বিজেপির 'কম্যান্ডার ইন চিফ' রায়বাবু