ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশ ও ফ্রান্সে পরপর সন্ত্রাস হানা। তারপর পুজোর মুখে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজার। ঘরভাড়া দেওয়া নিয়ে কড়া নির্দেশ পাঠানো হল শহরের হোটেলগুলিতে। হোটেলে হোটেলে ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন পুলিসকর্মীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হোটেলে বিদেশি অতিথি আসলে, তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা পরীক্ষা করে দেখার কথা রিসেপশনিস্টের। তারপর ওয়েবক্যামে প্রত্যেক অতিথির ছবি তুলে রাখা। বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবি ও পরিচয় পত্রের প্রতিলিপি পৌছে যাবে কলকাতা পুলিসের ডেটাবেসে। এটাই নিয়ম। কিন্তু, শহরের অধিকাংশ মাঝারি হোটেলই এই পদ্ধতি মানে না। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের ঘটনায় শিক্ষা নিয়ে তাই কঠোরভাবে হোটেল নিরাপত্তাবিধি আরোপ করল কলকাতা পুলিস। হোটেলের রিসেপশনে সিসিটিভি ও ওয়েবক্যাম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


মদ্যপ যাত্রীকে অটোয় না তোলায় তিন অটোচালককে বেধড়ক পেটাল এক যুবক!



ওয়েবক্যামের পাশাপাশি, আরও কিছু নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। প্রত্যেক অতিথির পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস রয়েছে এমন পরিচয় পত্রের আসল কপি দেখেই ঘর দেওয়া হবে। পরিচয় পত্রের ফোটোকপি কোনওভাবেই গ্রাহ্য করা হবে না। প্রত্যেক অতিথির ছবি ওয়েবক্যামে তুলে কম্পিউটার ডেটাবেসে রাখতে হবে। পরিচয়পত্রের স্ক্যানকপি ও অতিথির ছবি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাঠাতে হবে পুলিসের ডেটাবেসে। অতিথি বিদেশি হলে একইভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।



বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের নাগরিক এলে বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। সামান্য সন্দেহ হলেই স্থানীয় থানা কিংবা লালবাজারকে জানাতে হবে। নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না তা দেখতে নিয়মিত বিভিন্ন হোটেলে ঢুঁ মারছেন কলকাতা পুলিসের কর্মীরা।



সন্ত্রাস তার কৌশল বদলেছে। আততায়ী কোনরূপে আসবে কেউ জানে না। সন্ত্রাসে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স। রাজ্যে ধরা পড়েছে আইসিস জঙ্গি মুসা। পুজোর মুখে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে তাই কোনওরকম জুয়া খেলতে চায় না পুলিস।