নিজস্ব প্রতিবেদন: কে দিল পাস? ভুয়ো সিবিআইকাণ্ডে নয়া তথ্য। গত বছর লকডাউনের সময়ে নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চেপে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে শুভদীপ। প্রশ্নের মুখে হাওড়ার জগাছা থানার ভূমিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নাম করে প্রতারণা জাল বিস্তার করেছিল সে। সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, এমনকী বিয়েও, বাদ যায়নি কিছুই। শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাবতীয় নথি-সহ হাওড়ার জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রীই। অভিযোগকারীর দাবি ছিল, 'দেড় মাস হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত স্রেফ মামলা রুজু করেছে পুলিস। অভিযুক্ত বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখনও'। জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে শেষপর্যন্ত যখন ধরা পড়ল প্রতারক, তখন ফের একবার প্রশ্নের মুখে সেই জগাছা থানা।


আরও পড়ুন: JMB জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার 'কোড'! বড় নাশকতার পরিকল্পনা?


কেন? তখন রাজ্য জুড়ে লকডাউনের কড়াকড়ি চলছে। সূত্রের খবর, ২০২০-র ১৬ মে জগাছা থানায় পাস চেয়ে আবেদন করে শুভদীপ। নিজেকে কিন্তু সরকারি আধিকারিক পরিচয় দেয়নি সে। বরং সাধারণ নাগরিক হিসেবেই পুলিস জানিয়েছিল, ব্যাঙ্কিং ও পোস্টালের মতো জরুরি পরিষেবার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে তাকে।  ১৭ মে জগাছা থানা থেকে পাসটি পেয়েও যায় শুভদীপ। আর সেই পাসকে হাতিয়ার করে নীলবাতি লাগানো গাড়ি চেয়ে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রতারক।  


আরও পড়ুন: SSKM-যৌন হেনস্থা কাণ্ডে চিকিত্‍সকদের 'উপযুক্ত শাস্তি'র দাবিতে সরব গণসংগঠন, চলছে বিক্ষোভ


এখন প্রশ্ন হল, শুভদীপকে এই পাসটি কেন দিল জগাছা থানা? তাহলে কি থানায় তার খুব পরিচিত কেউ ছিলেন? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এদিকে মঙ্গলবার রাতে ভুয়ো সিবিআই অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়  জোড়াবাগান থানা এলাকায়। রবীন্দ্র সরণী থেকে তার ব্য়বহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এই গাড়িতেই নীলবাতি ও ভুয়ো সিবিআই অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরে বেড়াত শুভদীপ।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)