কমলিকা সেনগুপ্ত: বাবার সঙ্গে যতই রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করে নিজের দলের প্রতি আনুগত্য দেখাক, তবু শুভ্রাংশু রায়কে তাঁর দল মোটেই 'বিশ্বাসযোগ্য' মনে করতে পারছে না। বলা ভাল, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশুর উপর ভরসা রাখতে পারছে না উত্তর ২৪ পরগণার জেলা নেতৃত্বই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে আজ রাজ্য জুড়ে কালা দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। জেলার পাশাপাশি কলকাতার রাস্তাতেও নেমেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ঘাঁসফুলের একাধিক প্রথম সারির নেতা। আর রাজ্য জুড়ে আজকের এই কর্মসূচির ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিন আগেই। কিন্তু সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ক্ষেত্রে কালা দিবসের ব্লু-প্রিন্ট রচনায় ডাক পাননি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। দলের অন্দরে খবর, সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী মুকুল রায়ের ছেলেকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরই শুভ্রাংশু জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি তৃণমূলেই থাকবেন। ৩ নভেম্বর মুকুল আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও শুভ্রাংশু তাঁর পূর্বের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দিছিলেন, "আমি তৃণমূলেই আছি"। এরপর ৬ নভেম্বর সোমবার মুকুল কলকাতায় পৌঁছে ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছিলেন যে, খুব শীঘ্রই কাঁচরাপাড়ার পৈতৃক বাড়িতে বাবা-ছেলের অফিসঘর আলাদা হতে চলেছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘকাল জোড়াফুল প্রতীকে রাজ্যসভার সাংসদ থাকা মুকুল ও তাঁর পুত্র তথা তৃণমূলেরই বিধায়ক শুভ্রাংশু একই অফিসঘর ব্যবহার করতেন।


আরও পড়ুন- ৩১ কেজির কেক-ছানাবড়ায় অভিষেকের জন্মদিন পালন


কিন্তু এবার সেই ঘর আলাদা হতে চলেছে। কারণ হিসাবে মুকুল জানানা, "দুটি আলাদা দল, তাই অফিসঘরও আলাদা হওয়া দরকার"। অর্থাত্ মুকুল যে শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক অবস্থানকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করতে চাইছেন না তা পরিষ্কার হয়ে যায়। পাশাপাশি, শুভ্রাংশু নিজে মুখেও দল ও দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্যের কথা বলে যান। কিন্তু তারপরও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর উপর 'ভরসা' রাখতে পারছে না দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি শুধুমাত্র শিবির বদলানো মুকুল রায়ের ছেলে হওয়ার জন্যই 'দলের প্রতি অনুগত' বিধায়ককে ভরসা করতে পারছে না তৃণমূল।