লোকসভা-বিধানসভার ফারাক করতে পারছে না বিজেপি, স্পিকারকে বলেছি প্রশিক্ষণ দিন: সুদীপ
শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে লকেটকে বলার অনুমতি দেন স্পিকার। সরব হন বাংলার অন্য বিজেপি সাংসদরাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমকাজে সমবেতনের দাবিতে বিকাশভবনের উল্টো দিকে অনশন করছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। আর পার্শ্বশিক্ষকদের দাবিদাওয়া রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেল লোকসভার অধিবেশনে। রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবাদ জানিয়ে স্পিকারকে পাল্টা চিঠি দেয় তৃণমূল। চিঠি ছিঁড়ে ফেলা উচিত বলে মন্তব্য বাবুলের। কলকাতা বিমানবন্দরে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, প্রথমবারের সাংসদ। তাই বাংলার বিধানসভার সঙ্গে ভারতবর্ষের লোকসভার একটা ফারাক আছে, সেটা বুঝতে পারছে না।
শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে লকেটকে বলার অনুমতি দেন স্পিকার। সরব হন বাংলার অন্য বিজেপি সাংসদরাও। লকেট বলেন, ১৫ দিনের বেশি হয়ে গেল পার্শ্ব শিক্ষকরা অনশন করছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কেউ সেখানে দেখতে যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। ৫-৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। বাংলায় শিক্ষকদের শোচনীয় অবস্থা বলে অভিযোগ করেন তিনি। লকেট বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মেলা-খেলার জন্য টাকা দিচ্ছেন, কিন্তু শিক্ষকদের দিকে তাকাচ্ছেন না। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে অভিযোগ করছেন, টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
কলকাতায় সুদীপ বলেন,''বাংলার বিধানসভার সঙ্গে ভারতবর্ষের লোকসভার একটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা ঠিক করতে পারছেন না প্রথমবারের সংসদরা। আমার কথা বললে আমি ৯ বার জিতেছি। ৪ বার এমএলএ হয়েছি। ৫ বার এমপি হয়েছি। কোথাও একটা ধারণা থাকা দরকার। আমি খুশি যে স্পিকার নিজেই বলে দিয়েছে লোকসভাটাকে আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা বানাবেন না। এদেরকে কোচিং দিন, ট্রেনিং দিন।''
লকেটের বক্তব্য চলাকালীনই, ওয়েলে নেমে পড়ে তৃণমূল। প্রতিবাদ জানিয়ে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায়েরা। অভিযোগ করা হয়, লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং, সৌমিত্র খানরা, লোকসভাকে বাংলার বিধানসভায় পরিণত করার চেষ্টা করছেন। প্রচারের জন্য পার্শ্বশিক্ষক, চিটফান্ড ইস্যু তুলে তাঁরা সংসদের গরিমা নষ্ট করছেন। লকেটদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য স্পিকারকে আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- Exclusive: বাবার ডায়াবেটিস কমেছে? জয় শাহের কাছে অমিতের খোঁজ নিলেন মমতা