নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ব যাদবপুরে কিশোরীর রহস্যমৃত্যু। গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার। বাড়িতে ওই সময় কিশোরীর বাবা-মা ছিলেন না। ফাঁস লাগা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল কিশোরীর নিথর দেহ। কীভাবে গলায় ফাঁস, দ্বন্দ্বে পরিবার। ফাঁস লাগার পদ্ধতিই ভাবাচ্ছে পুলিসকে। অবসাদেই কি আত্মঘাতী? নাকি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু উত্তর খুঁজছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নিজের সঞ্চয় থেকে ছেলের চিকিত্সার জন্য বউমাকে টাকা দিয়েছিলেন! তা লাগছে এখন বাবা-ছেলের সত্কারে


কিশোরীর পরিবার সূত্রে খবর, কিছুদিনের আগেই মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন বাবা। মোবাইল নিয়ে বেশ খুশিই ছিল কিশোরী। এমনকী আজ সকালেও ফোনের বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে মজার ছবিও তোলে সে। তাঁর মৃত্যুর পর মোবাইলে তাঁর প্রাণচ্ছ্বল চবি মিলেছে। যেগুলো থেকে অনুমান এ দিন সকালেও স্বাভাবিকই ছিল কিশোরী। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 


কিছুদিন আগেই একই দিনে শহরে পরপর ৭টি রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পাশাপাশি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে সাধারণের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে অবসাদ বাড়ছে মানুষের মধ্যে তার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যা। এই কিশোরীর মৃত্য়ুও কি আত্মহত্যাই? নাকি অন্য কোনও কারণ। আপাতত এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিসকে। 


এ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার কথা বলতে গেলে চোখ রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিসংখ্যানে। সবমিলিয়ে যেখানে দেখা যাচ্ছে, গত ১ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত শুধু কলকাতাতেই ৫০ জনের বেশি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাও কম নয়। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। রয়েছে ঝাঁপ, আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনাও।