নিজস্ব প্রতিবেদন:   দল ভাঙিয়ে বিজেপির পুরসভা দখলের রেওয়াজকে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করলেন সুজন চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



সুজন চক্রবর্তী এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, “বাংলায় কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। ট্রেনে মাদ্রাসা শিক্ষকরা মার খাচ্ছে। দখলের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ৪টে মিউনিসিপ্যালিটি দখল করা হয়েছে। শাসকদল তাতেবিব্রত। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।”


তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ দলত্যাগ করে, তার পদত্যাগ করা উচিত।” বিধানসভাতে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “কিছু লোক এখন মনে করছে, তৃণমূলকে যদি ঠেকাতে হয়, বিজেপিকে ধরতে হবে। আর তাতেই বাংলার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে।”


প্রসঙ্গত, যেভাবে বিজেপি দল ভাঙানোর খেলা শুরু করেছে, সে প্রসঙ্গ এদিন বিধানসভায় উত্থাপন করে সুর চড়ান সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,  “শাসকদল ধরে রাখতে পারবে তো? শাসকদলকে বেশ কিছু বিষয় ভাবতে হবে। ডাবগ্রামে ৪১ হাজার ভোট কোথায় গেল? এই ভোট বিজেপির দিকে কেন গেলো? তৃণমূলের ভোট কেন বিজেপিতে গেল?”  


''কাউকে তোয়াজ করি না'', বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন ফিরহাদ হাকিম


এদিন আগাগোড়া বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই তথ্য দিয়ে বলতে থাকেন,কোথায় মন্ত্রীরা কত ভোটে পিছিয়ে। সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, “ সারা ভারত বিজেপি  আসন  বেড়েছে।  তার মধ্যে  ১৬টা এই রাজ্যে।  ইনসাল্লাহ যত বেড়েছে,  রামনবমীর বীজ তলায় তলায়  আরও বেড়েছে।”


প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বাম-কংগ্রেস ও শাসকদলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তা আরও বাড়তে থাকে। শাসকদল অভিযোগ করতে থাকে, বামেরাই তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু বাংলায় বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে শাসকদলের মেরুকরণের পুরনো নীতিকেই দায়ী করেছেন বামেরা। এদিন তার আঁচ গিয়ে পড়ল বিধানসভাতেও।