নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিকে রুখতে বাম-কংগ্রেসকে জোটের বার্তা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় 'পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন' এনে এমনটাই দাবি করলেন পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। কাঠগড়ায় তুলেছেন সংবাদমাধ্যমকে। সেই বক্তব্য খণ্ডন করে প্রতিবাদ করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। পরে অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন তাঁরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জোট প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়,''অবিশ্বাস্য লাগছে! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য খারিজ করার জন্য তাঁর দলের মন্ত্রীরা উঠেপড়ে লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী কাল কী বলেছেন? আমরা 'নো চান্স' বলে সরব হয়েছি''।একইসঙ্গে সুজনবাবু বলেন,''সংবাদমাধ্যম যথাযথভাবে উল্লেখ করেছে। খবরের কাগজে যা বেরিয়েছে তা কেন বেঠিক। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনুন। আমাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনার হিম্মতও নেই। আমরা স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনব। আপনারা তো সেটা গ্রহণ করবেন না। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যগুলিকে বক্তৃতা করে গেলেন ১০ মিনিট''।  



এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে 'পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন' আনেন তাপস রায়। পড়ে শোনান একাধিক সংবাদপত্র। তাপস রায় দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী কোনও জোট করার কথা বলেননি। বলেছেন, একসঙ্গে আসার কথা, যেমন জাতীয়স্তরে হয়। সংবাদমাধ্যম ভুল লিখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি আবার তৈরি করা হচ্ছে। কারণ তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এরপরই সোচ্চার হন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। এরপর কক্ষত্যাগ করেন তাঁরা। 


বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের জবাবি বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,''সিপিএম, কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করবে, আমি বিশ্বাস করি না। বিজেপি সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে''। এরপরই আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশে তিনি বলেন,''আমাদের একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়া দরকার। বিজেপি ছাড়া বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি সত্''।   


আরও পড়ুন- একা বিজেপিকে রুখতে পারবেন না, নিজেই স্বীকার করে নিলেন মমতা: মুকুল