Kalighat Kaku: অবাক মেয়ের প্রশ্ন, টিভিতে এসব কী দেখছি! ইডি হেফাজতে কেঁদে ফেললেন `কাকু`
Recruitment Scam: টিভিতে এসব কী দেখছি! মেয়ের প্রশ্নে কেঁদে ফেললেন কাকু। সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়ে গেল। কেন আরও কিছুদিন সময় নয়? তদন্তকারীদের প্রশ্ন সুজয়কৃষ্ণের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইডি হেফাজতে কাকুর কান্না। টিভিতে এসব কী দেখছি। বাবাকে প্রশ্ন মেয়ের। আর এরপরই মেয়ের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডি হেফাজতে কেঁদে ভাসালেন কাকু। ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কেন তাঁকে আরও একদিন সময় দেওয়া হল না! তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে বলেও জানান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির অফিসাররা অবশ্য জানান, তাঁকে অনেকটাই সময় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, CPM Leader Suspended: এবার শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়াল সিপিএম-এর নাম, বহিষ্কার দলের দুই নেতা
ইডি সূত্রে খবর, হেফাজতে পাওয়ার পর ম্যারাথন জেরা কালীঘাটের কাকুকে। কিন্তু জেরায় সহযোগিতা করছেন না কালীঘাটের কাকু। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সন্তুকে দ্রুত তলব করা হতে পারে। টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে, জানতে চায় ইডি। এদিকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর খাবার মুখে তুললেন কাকু। হেফাজতে যাওয়ার পর থেকেই খেতে অনীহা। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তদন্তকারীরা। তবে রাতে ডিনার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ।
বুধবার আদালত থেকে রাত ৯ টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে আনা হয় সুজয় কৃষ্ণকে। দেওয়া হয় রাতের খাবার। কিন্তু সেই খাবারের বিশেষ কিছুই মুখে তুলতে চাননি কাকু। এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। সুজয় কৃষ্ণর বয়সজনিত বেশকিছু শারীরিক অসুস্থতা আগে থেকেই রয়েছে। কয়েকমাস আগে তাঁর হৃদযন্ত্রে ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি সময় ঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া না করলে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে কাকুর। সে কথা মাথায় রেখে ইডি অফিসাররা তাঁকে নানা ভাবে বোঝানোর এবং সঠিক খাওয়া দাওয়ার অনুরোধ করেন।
ইডির আশঙ্কা, হেফাজতের ১৪ দিনের মধ্যে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে এভাবে গোঁ ধরে থাকলে তাকে সঠিকভাবে জেরা করাই যাবে না। ফুরিয়ে যাবে ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাকে পাঠানো হতে পারে জেল হেফাজতে। তখন তার পেট থেকে কথা বের করতে অসুবিধা হতে পারে। তাই বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাকে সঠিকভাবেই খাওয়া দাওয়া করানোর চেষ্টা চালায় ইডি।
টালির চালের মুদির দোকান থেকে কালীঘাটের কাকুর রকেট গতিতে উত্থান হয়। নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা রিয়েল এস্টেটে খাটান সুজয় ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর আরও একটি কোম্পানির হদিশ। ২০১০ সালে কোম্পানি খুলে মোটা টাকার লেনদেন। কালো টাকা সাদা করতেই আচমকা কোম্পানি বন্ধ? তদন্তে ইডি। বিরোধী নেতা শুভেন্দুর দাবি, কালীঘাটের কাকুর হাত দিয়ে তৃণমূল যুবার রেজিস্ট্রেশন। বেহালায় টাকা জমা হত, সেই টাকা পাঠানো হত কালীঘাটে। আর মাত্র একটা ধাপ, কান টানলেই এবার মাথা আসবে।