২০১৯-এ চেয়ে পাঠানো অ্যাকশন রিপোর্ট পাঠিয়েছে ২০২২! অভিষেককে পালটা সুকান্তর
`বাংলার টাকা আটকে রাখার পক্ষপাতিত্ব আমরা নই। কিন্তু এই টাকা যেন যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছাবে, তারপর তা কাটমানি হয়ে ভাইপোর কাছে পৌঁছাবে আর নরেন্দ্র মোদি তার জন্য টাকা পাঠাবে! এটা হতে দেব না।`
সৌমেন ভট্টাচার্য: লিপুরদুয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'আমি তথ্য প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি ইউপিএ আমলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যত টাকা পেয়েছে, তার কয়েক গুণ বেশি টাকা নরেন্দ্র মোদির আমলে পেয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এখন দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃণমূল কংগ্রেস ১০০ দিনের গরীব মানুষের টাকা, সেখানেও দুর্নীতি করছে। এই চোরেদেরকে যতক্ষণ না ধরা হচ্ছে বা যতক্ষণ না টাকা ফেরত দিচ্ছে ততক্ষণ কোনও টাকা পাবেন না।'
তোপ দাগেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ে পাঠানো ২০১৯ সালের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট ২০২২ সালে পাঠিয়েছে।' তিনি সাফ জানান, 'বাংলার টাকা আটকে রাখার পক্ষপাতিত্ব আমরা নই। কিন্তু এই টাকা যেন যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছাবে, তারপর তা কাটমানি হয়ে ভাইপোর কাছে পৌঁছাবে আর নরেন্দ্র মোদি তার জন্য টাকা পাঠাবে! এটা হতে দেব না।'
প্রসঙ্গত, এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ফের বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। হুঁশিয়ারি দেন, একশো দিনের লড়াই সর্বাত্মক হবে। দিল্লির বুকে লড়াই আরও তীব্রতর হবে। বকেয়া আদায়ে যত দূর যাওয়ার যাব। রাজ্যে ২০ লক্ষ পরিবার কাজ করে প্রাপ্য টাকা পায়নি। বুথে বুথে তালিকা তৈরি করবে তৃণমূল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিনের সভায় কড়া সুরে বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগেন। বলেন, 'মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে বিজেপি। গায়ের জোরে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। একমাত্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।' নির্দেশ দেন, 'এক মাস ধরে বাংলাজুড়ে তালিকা তৈরি করা হবে। এই বঞ্চিতদের দিয়ে চিঠি লেখান প্রধানমন্ত্রীকে। আগামী ১ মাসে ১ কোটি চিঠি তৈরি করুন। এক কোটি মানুষের সই সংগ্রহ করুন।' সেই সই করা এক কোটি চিঠি নিয়ে তিনি দিল্লিতে যাবেন বলে জানান।