উপভোটের প্রচার একসঙ্গে করবেন সোমেন-সূর্য, খড়্গপুর ছাড়তে সনিয়াকে চিঠি মান্নানের
লোকসভা ভোটের ভুলের আর পুনরাবৃত্তি করতে চায় না বাম-কংগ্রেস।
মৌমিতা চক্রবর্তী ও কমলিকা সেনগুপ্ত: আসন্ন উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট পাকা। খড়্গপুর সদর ও কালিয়াগঞ্জ আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে বামেরা। তারা লড়াই করবে করিমপুরে। এরইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে যাবেন বিমান-সূর্যরা। আর সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এর মধ্যেই আবার সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ওই চিঠিতে খড়্গপুর আসনটি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। ওই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
লোকসভা ভোটের ভুলের আর পুনরাবৃত্তি করতে চায় না বাম-কংগ্রেস। সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু ও সোমেন মিত্র একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট তো বটেই, তার আগে সব নির্বাচনেই জোটে লড়াই হবে। সেই নীতি মেনেই উপনির্বাচন থেকে শুরু যাচ্ছে সমঝোতার প্রক্রিয়া। খড়্গপুর সদর ও কালিয়াগঞ্জ আসন ছাড়া হবে কংগ্রেসকে। করিমপুরে প্রার্থী দেবে সিপিএম। আগামী ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আলিমুদ্দিন।
বাম-কংগ্রেস জোট শুধু নাম কে ওয়াস্তে নয়, বরং একে অপরের প্রার্থীপ্রচারেও দেখা যাবে নেতাদের। কংগ্রেসের প্রচারে যাবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তেমনই সিপিএমের প্রচারে ভোট দেওয়ার আবেদন করবেন সোমেন মিত্র।
এর মধ্যেই আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে আবদুল মান্নানের একটি চিঠিকে ঘিরে। কংগ্রেস সভানেত্রীকে দেওয়া চিঠিতে খড়্গপুর সদর আসনটি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন মান্নান। বলে রাখি, খড়্গপুর সদর দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র। লোকসভা ভোটে জেতার পর তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় খালি হয় আসনটি। ওই কেন্দ্রকে কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে সিপিএম। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ওই কেন্দ্রটি কাকে ছাড়ার কথা বলেছেন আবদুল মান্নান? ওই চিঠির পরই মান্নানের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ছড়ায়। এব্যাপারে এখনও কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বলে রাখি, আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর ও করিমপুরে বিধানসভার নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২৮ নভেম্বর। লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বিরোধী পরিসর এখন তাদের দখলে। ওই তিনটি আসনই টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের কাছে তাই অগ্নিপরীক্ষা। জোট বেঁধে কি বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব? নাকি ভোট কাটাকাটিতে সুবিধা পাবে তৃণমূল? উত্তর দেবে উপনির্বাচনের ফলাফল।
আরও পড়ুন- ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে বিলীন হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর ও মুম্বই