নিজস্ব প্রতিবেদন:  মাকে বাঁচানোর ফর্মুলা আছে। যে ফর্মুলা অসাধু কারওর হাতে এলে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তাই মা, না কি বিশ্ব। দোটানায় শুভব্রত মজুমদার। আর সেই দোটানাতেই তিন বছর ফ্রিজে মায়ের দেহ।  জানালেন ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধিকর্তা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কানের কাছে কিছু অচেনা অজানা কথা। ভাষা পরিচিত নয়। সে কথায় লুকিয়ে জীবন্মৃত্যুর রহস্য। যে রহস্যভেদে মৃত মানুষও বেঁচে ওঠে। কিন্তু সে গহীন রহস্য তো সবার জন্য নয়। মৃতকে জীবিত বানানোর সে রহস্যের সন্ধান অসাধু কারওর হাতে পড়লে ভয়ঙ্কর। বিশ্ব যাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথে। এমনটাই মনে করেন বেহালার ইঞ্জিনিয়ার শুভব্রত মজুমদার, যিনি ৩ বছর ধরে মা বীণা মজুমদারের দেহ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: ৩ বছর ধরে মৃত মায়ের দেহ ফ্রিজারে রেখেছিল ছেলে, কাটা ছিল দেহের বুক থেকে পেট!


শুভব্রতর দাবি, জার্মান আর রাশিয়ান কনস্যুলেটের সঙ্গে এই নিয়ে গভীর আলাপচারিতা চলত তার। মৃতদেহে প্রাণ ফেরানোর উপায়ের ফর্মুলা তৈরি হত সে আলোচনায়। কিন্তু ওই ভয়,  বিশ্ব শেষের ভয়। মানুষ আগে না মা? এমনতরই  ভাবনা ছিল বেহালার শুভব্রত মজুমদারের। এই ভাবনাতেই তিন বছর ধরে মায়ের দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তিনি। কেন করলেন এ কাজ? প্রশ্ন করলে উত্তর আসে, টু রিভাইভ হার। অর্থাত্ বাঁচিয়ে তোলার জন্য। মাকে মমি করে রেখে দেওয়ার প্রশ্ন যেন অবান্তর। চোখ মুখের ভাষা এমনই। ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি অধিকর্তা প্রদীপ সাহার সঙ্গে এদিন কথা বলানো হয় তাঁকে। কথা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে প্রদীপ বাবু জানান মানসিকভাবে অসুস্থ তিনি। সামান্য স্কিত্‍‍জোফ্রেনিয়াক।


পার্থ দে-র সঙ্গে শুভব্রতর মিল পাচ্ছেন চিকিত্সক। পার্থ দে-র মতোই তাই শুভব্রতর সঙ্গে আরও কথা বলে, কাউন্সেলিং করে সত্যিটাকে খুঁজতে চাইছেন তাঁরা। হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। মত চিকিত্সকের।