Suvendu Adhikari: `সরকারের সঙ্গে অনেক বেআইনি কাজ করেছেন রাজ্যপাল`, বিস্ফোরক শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতা বলেন, `সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করেন। আমার কাছে তথ্য আছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি করতে চাই না। রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে অনেকভাবে সাহায্য করছেন। আমি সেগুলোও বলতে চাই না। আমি গর্ভনের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করি না। রাজ্য সরকার বেআইনি কাজ করাচ্ছেন।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করেন। আমার কাছে তথ্য আছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি করতে চাই না। রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে অনেকভাবে সাহায্য করছেন। আমি সেগুলোও বলতে চাই না। আমি গর্ভনের উপর নির্ভর করে রাজনীতি করি না। রাজ্য সরকার বেআইনি কাজ করাচ্ছেন। উনি কিছু কিছু বেআইনি কাজ করছেন। যেমন নির্বাচন কমিশন বীরেন্দ্রকে সরিয়েছে তারপরে উনি ইনফরমেশন কমিশনার করে দিয়েছেন। অসীম রায়কে লোকায়ুক্তের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন।'
আরও পড়ুন, Weather Update: কলকাতায় কালবৈশাখির তাণ্ডব! ঝড়ের দাপটে ভাঙল গাছ, ব্যাহত বিমান চলাচল
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, 'বেআইনি কাজে সহায়তা তো করছেনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর প্রতিনিধিরা বিরূপ হলেই উনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সেটা মিটিয়ে নেবেন। ভাব-ভালোবাসা চলবেই। এর মধ্যেখানে বিরোধী দলনেতার ঢোকার কোনও ইচ্ছে নেই। তবে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনখড়কে স্যালুট করি।' এ প্রসঙ্গে পালটা কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর। জগদীপ ধনখড় থাকাকালীন রাজভবন তো বিজেপির মামাবাড়ি হয়েছিল। তবে এই রাজ্যপাল এখনও পর্যন্তও এমন কিছু করেননি। তবে কখনও মতবিরোধ হবে না এমনও নয়। নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা এভাবে জানাচ্ছে। কুণালের প্রশ্ন, রাজ্যপাল কী দলদাসের মতো কাজ করবে?'
'রাজ্যপাল সি ভি আনন্দকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁর মতামত ব্যক্ত করার। যেটা ন্যায্যও।' যদিও এর আগেও শুভেন্দু তোপ দেগেছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। হাওড়া এবং রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। তখনও রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর স্পষ্ট জাবাব ছিল, 'সমালোচনা আমার পছন্দ। সমালোচনা মানুষকে সংশোধন করতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী যা বলেছেন, তা আমি মনে রাখব। ওনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।'
প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল পদে সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে আগেই অসন্তোষের ইঙ্গিত দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। স্বপন দাশগুপ্তের মত নেতারা তো সরাসরিই বলেছেন, জগদীপ ধনকড়ের বিকল্প খুঁজে পাওয়া ভার। তারপরই সরস্বতী পুজোয় রাজ্যপালের বাংলা শেখার হাতে-খড়ি অনুষ্ঠান ‘জয় বাংলা’ মন্তব্য নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলকে বিঁধে সি ভি আনন্দ বোসকে শব্দ চয়ণ নিয়ে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই চাপ বজায় রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, Newtown: নিউটাউনে বহুতলে থাকতেন, সেই বহুতল থেকেই ঝাঁপ আইটি কর্মীর....