Sajal-র গ্রেফতারি তৃণমূলের মস্তানি: Suvendu; দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত: Kunal
পুলিস `অতিসক্রিয়` হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুচিপাড়ায় বাড়ির দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এই ঘটনাকে 'মস্তানি' বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট মনে করিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন,'পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে।'
সন্ধেয় সজল ঘোষের স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বাড়িতে পৌঁছন রাত ১০টায়। কথা বলেন স্ত্রীর সঙ্গে। সজলের বাবা প্রদীপ ঘোষের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু বলেন,'বাংলায় একদলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। এর সমাধান গণতান্ত্রিক আন্দোলন। বিচারব্যবস্থাও রয়েছে। সুবিচার পেয়ে মাথা উঁচু করে ফিরবে সজল। আরও প্রতিবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। দরজা ভাঙা। পুলিসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সর্বস্তরে করতে পরামর্শ দিয়েছি। থানা এফআইআর না নিলে আদালতে যেতে হবে। আইনি লড়াইয়ে পরিবারের পাশে আছে বিজেপি। প্রদীপবাবুকে বললাম আমরা সবাই আছি।'
পুলিস 'অতিসক্রিয়' হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,'এই পদ্ধতিতে যদি বাগনানের নির্যাতিতার দোষীদের ধরত তাহলে বুঝতাম ঠিক কাজ করেছে। এরাই ত্রিপুরায় গিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা আছে, শাসনের আইন নেই। শাসকের আইন চলছে। প্রদীপ ঘোষ অসুস্থ। বাড়িতে মহিলারা থাকেন। লাথি মেরে দরজা ভাঙা হয়েছে। এটা মস্তানি। ২৩৫-র দম্ভ দেখিয়ে শূন্য হয়ে গিয়েছে। এরা ২১৩-র দম্ভ দেখাচ্ছে। এটা আমরা মনে করি মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে। '
দরজা ভাঙার দৃশ্য 'অবাঞ্ছিত' বলে মনে করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি টুইট করেন,'মুচিপাড়া: কাল রাত থেকে বিজেপি অসভ্যতা করেছে। সজল এর মধ্যে ঢুকে অন্যায় করেছে। মানুষের ক্ষোভ থাকবেই। সজলের উচিত ছিল পুলিশকে সহযোগিতা করে বেরিয়ে আসা। তবে অভিযোগের অনুপাতে পুলিশের সময় না দিয়ে দরজা ভাঙার দৃশ্য অবাঞ্ছিত। এতে অভিযুক্তদের সুবিধা হয়।' (বানান ও বাক্যগঠন অসম্পাদিত)
শুক্রবার সজল ঘোষকে গ্রেফতার করতে যায় মুচিপাড়া থানার পুলিস। দরজা খোলেননি সজল। তিনি অনড় থাকেন, দরকারে পুলিস দরজা ভেঙে গ্রেফতার করবে। এরপর লাথি মেরে দরজা ভাঙে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় পুলিসকে। সজলের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,'বিজেপির লোকজনকে কেস দিতে, ভয় দেখাতেই এসব করছে। সজল ক্রিমিনাল নাকি? বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে গ্রেফতার করছে। দিল্লি, ত্রিপুরা গিয়ে এরাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলছে।'
আরও পড়ুন- CPM: কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার 'পঞ্চপাণ্ডব'! ঘুরে দাঁড়াতে নবীন-পথ ধরছে আলিমুদ্দিন