Mamata Banerjee and Abhishek Banerjee:বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা, মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
Mamata Banerjee and Abhishek Banerjee: একুশের মঞ্চ থেকে ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়? ২১-শের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার বিজেপির সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে
মৌপিয়া নন্দী: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে শনিবার সন্ধেতেই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অনুযায়ী রাত ১০টা ৪ মিনিট নাগাদ কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন! মালদহের ঘটনা নিয়ে অসংবেদনশীল ট্যুইট সেলিমের
এদিন রাতে মেল করে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ১৫৩এ, ১৫৩বি, ৫০৫, ৫০৬, ১২০বি-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে আগামী ৫ আগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। তবে একুশের মঞ্চেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি করতে হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ির একশো মিটারের বাইরে যাতে তাদের অসুবিধে না হয়। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই অভিযোগ মেল-এ শুভেন্দু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছুটা অংশ তুলে ধরেছেন। শুভেন্দুর দাবি, অভিষেক যে ভঙ্গিমায় ওই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। বিজেপি নেতারা যারা নিরাপত্তা পান সেই প্রটোকলের পরিপন্থী।
অভিষেকের ওই কর্মসূচি নিয়ে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রথমত আমি হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব মেল পাঠিয়ে। পশ্চিমবাংলার এক সাংসদ যিনি আপত্তিকর কথা বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ১৫৪ ধারায় এফআইআর করব। আমি নিজে ওই হুমকির ভিক্টিম। গত ২ থেকে আড়াই বছর আমার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে দশ বারেরও বেশি।
একুশের মঞ্চ থেকে ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়? ২১-শের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, আগামিদিনে বাংলার মানুষ দিল্লি গিয়ে নিজের অধিকার ছিনিয়ে আনবে। নিজের অধিকারের স্বার্থে লড়বে। আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার বিজেপির সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। কিন্তু বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেও না ঢুকবেও না। কিন্তু গায়ে হাত দেবেন না। গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।
অভিষেকের ওই মন্তব্যের পরই তৃণমূলের ওই কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অভিষেককে বলব বাড়ির সামনে নয়। বাড়ি থেকে অন্তত একশো মিটার দূরে প্রতীকী অবস্থান হোক যাতে কারও মনে না হয় যে তাদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ওই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের আতঙ্ক ওঁকে তাড়া করে। যাকে প্রকাশ্যে মানুষ টাকা নিতে দেখেছে, যার নাম সিবিআইয়ের এফআইআর-এ আছে তিনি এখন থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি জানেন, মামলা ও হামলা ছাড়া আগামী দিনে তাঁর বেঁচে থাকার রাস্তা নেই। তাই তিনি এই ধরনের কাজ করে থাকেন। শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আগামিদিনে হারিয়ে যাবে। নিজের দলেই তিনি এখন কোণঠাসা। তাঁর কথা তাঁর দলের নেতারাই মান্যতা দেয় না। ওঁর রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আতঙ্কে ওঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।