Malda: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন! মালদহের ঘটনা নিয়ে অসংবেদনশীল ট্যুইট সেলিমের
Malda: ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিস জানিয়েছে, 'হাটে চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে মারধর ও জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এরপর কোনও পক্ষ-ই পুলিসে কোনও রিপোর্ট করেনি। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভিডিয়োটি পুলিসের নজরে আসে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালদহের বামনগোলায় ২ আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি। হাটের মাঝে ওই নির্যাতনের ভিডিয়ো পোস্ট করে পুলিসের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার অন্য এক কাণ্ড করলেন মহম্মদ সেলিম। অমিত মালব্যের একটি ট্যুইটের জবাব দিতে গিয়ে নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে পাল্টা একটি ট্যুইট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন-'অনুব্রতর দাওয়াই দেব আপনাকে', বিডিওকে 'চড়াম চড়ামের' চরম হুঁশিয়ারি BJP বিধায়কের
নির্যাতিতার নাম কোনওভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। এই নির্দেশ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। সেই নির্দেশ অমান্য করে বামনগোলার নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে দিয়েছেন সেলিম। অমিত মালব্যের একটি ট্যুইটের উত্তর দিতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম ওই ট্যুইটে লিখেছেন, জনরোষের এই দৃশ্য অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আতঙ্কের। ওই ঘটনার নিন্দার ক্ষেত্রে সিলেকটিভ হওয়া উচিত নয়। নির্যাতিতার উপজাতিভূক্ত নন। কীভাবে দুই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দেওয়া হল? ওই ভিডিয়োর মাধ্যমে কি মব লিঙ্চিংকে উত্সাহ দেওয়া হচ্ছে? প্রসঙ্গত, ওইসব কথা বলতে গিয়ে তিনি দুই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দিয়েছেন। কীভাবে সেলিম এমন এক কাণ্ড করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
ট্যুইটে কোনও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ নিয়ে আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, যতদূর মনে পড়ছে ২২৮এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি গাইডলাইন রয়েছে নিপুন সাক্সেনার মামলায়। সেখানে বলা হয় কোনওভাবে এই ধরনের নির্যাতিতাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সেখানে ২ বছরের সাজার কথা বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের যখন নির্দেশিকা রয়েছে তখন এভাবে নাম প্রকাশ দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় বিজেপির তরফে অভিযোগ, বামনগোলার পাকুয়া হাটে ২ আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। অকথ্য অত্যাচার করা হয় তাঁদের উপর। পুলিসের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিস কোনও ভূমিকা পালন করেনি। পুলিস নীরব দর্শকের মত হাত গুটিয়ে বসেছিল। এই অভিযোগ তুলে একটি ভিডিয়ো টুইট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। বিজেপির আরও দাবি, ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গত ১৯ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হৃদয় এই ঘটনায় কাঁদছে না বা তিনি এখনও পর্যন্ত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বলেও টুইটে সমালোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই অমিত মালব্য ও সুকান্ত মজুমদারের এই টুইট সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। তোলপাড় শুরু হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিস জানিয়েছে, 'হাটে চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে মারধর ও জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এরপর কোনও পক্ষ-ই পুলিসে কোনও রিপোর্ট করেনি। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভিডিয়োটি পুলিসের নজরে আসে। তারপর পুলিস নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।' ছবি দেখে শনাক্ত করে বামনগোলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ওদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবু বিক্রি করতে বামনগোলার পাকুয়াহাটে গিয়েছিলেন ওই দুই আদিবাসী মহিলা। হাটেই তাঁদের চোর সন্দেহে মারধর করা হয়।