জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: 'তাহলে কি বলতে চাইছেন,  ১৯৯৩ সালে জ্যোতিবাবু ও মণীশ গুপ্ত সঠিক কাজ করেছিলেন মহাকরণ অভিযানে'? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, 'মাথায় গুলি করার কথা বলেছেন। ক্রিমিনালের মতো কথা বলেছেন। পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে ভাষা সন্ত্রাসের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছেন'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যবধান ২ বছরের। বিজেপির নবান্নে অভিযানে ফের ধুন্ধুমারকাণ্ড। উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতা ও হাওড়া। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ায় সাঁতরাগাছিতে। আক্রান্ত পুলিসও।  বাঁশ ও লাঠির আঘাতে হাত ভেঙেছে অ্য়াসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়ের। এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি তিনি।


এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত পুলিস অফিসারদের দেখতে এসএসকেএমে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উডবার্ন ওয়ার্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'আমি দেবজিৎ বাবুকে বললাম। আমি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনি কিছু করেননি বলে। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম।  আমার সামনে যদি পুলিসের গাড়়িতে আগুন জ্বলত, কপালে গুলি করতাম'। এমনকী, আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারীকেও।


আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhiyan: পুলিসের গাড়িতে আগুন নিশীথ ঘনিষ্ঠ বিজেপির কার্যকর্তার! ভিডিয়ো পোস্ট করে তোপ তৃণমূলের


গতকাল, মঙ্গলবার পিটিএস থেকে মিছিল করে নবান্নের দিকে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও রাহুল সিনহারা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে মিছিল আটকায় পুলিস। কেন? কর্তব্যরত পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বচসার পর আটক করা হয় শুভেন্দুকে। এরপর যখন এক মহিলা পুলিসকর্মী গায়ে হাত দিয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠতে বলেন, তখন প্রতিবাদ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চেঁচিয়ে ওঠেন, 'ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি আই অ্যাম মেল'। সেই ভিডিয়োটি এখন ভাইরাল। সোশ্য়াল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। 


এদিন এসএসকেএমে সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'ওঁর গায়ে এত জ্বালা কেন? মেল পুলিস টাচ করবে, ফিমেল পুলিস টাচ করবে না। কালকে যে ছবি আমি দেখতে পেয়েছি লালবাজারে, লকেট চট্টোপাধ্যায় রাহুল সিনহার হাতে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, 'প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। ব্য়ক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। দম্ভ নিয়ে কথা বলেন অভিষেক। আমাকে ধরতে আসেন মহিলা পুলিস। পরিকল্পনা করেই মহিলা পুলিস পাঠানো হয়। ওরা চক্রান্ত করেছিল, ফাঁদে পা দিইনি'। বস্তুত, বিজেপির নবান্ন অভিযান যখন চলছিল, তখন লালবাজারে বসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৫ ঘণ্টা পর ছাড়া পান তিনি। সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও রাহুল সিনহাও। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)