JU Student Death: `স্বপ্নদীপ ডে হবে বিধানসভায়`, যাদবপুর কাণ্ডে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে স্বপ্নদীপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কবে? আগামি শুক্রবার। তাঁর দাবি, `অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই`।
মৌমিতা চক্রবর্তী: 'অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই'। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে এবার স্বপ্নদীপের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। কবে? আগামি শুক্রবার। বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, 'বর্ষাকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হচ্ছে ২১ তারিখ। প্রথম কাজের দিন হচ্ছে ২২ তারিখ। ২২তারিখ এই রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী যদি বিধানসভা এলে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট না দেন, ২২ তারিখটা স্বপ্নদীপ ডে হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়'।
আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুরে ধুন্ধুমার, স্বপ্নদীপের বাড়িতে তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা...
রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ। বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! যাদবপুর কাণ্ডে পুলিসের জালে আরও ৬ পড়ুয়া। ৩ জন প্রাক্তন, আর ৩ জন বর্তমান ছাত্র। পুলিস সূত্রে খবর, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁদের। ধৃতদের ১২ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন 'একটি স্বপ্নের মৃত্যু' শীর্ষক আলোচনা সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এই হত্যার পিছনে যুক্ত যাঁরা, তাঁদেরকে শুধুমাত্র চিহ্নিত করে গ্রেফতার করলেই হবে না। শাখা-প্রশাখা কতদূর আছে, তাঁকে চিহ্নিত করার দরকার আছে। যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিস বা কলকাতা পুলিস কিছুতেই পারবে না। এটা আমার স্থির বিশ্বাস'।
কেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, 'প্রথমদিন যিনি ধরা পড়েছেন, তাঁর নাম সৌরভ না কি একটা। তিনি ২০২১ সালে বাংলা পক্ষ বলে একটা পক্ষ তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বাংলা পক্ষের অন্যতম প্রচারক ছিলেন এই ছেলেটি। দু'মাস আগে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে wbcs-র বাংলা নিয়ে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ পর্যন্ত করেছেন। এই লোকগুলি পিছনে বর্তমান শাসকের আর্শীবাদ আছে। নো ভোট টু বিজেপি-এর প্রচারক অঙ্কন দত্ত, IPAC-র অর্থে তাঁকে রাজ্যের একজন মন্ত্রী, দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন, সরিয়ে দিয়েছে। যাতে পুলিস বা কাউ থাকে ছুঁতে না পারে'।
শুভেন্দু বলেন, 'আজকে একটি ছেলে ধরা পড়েছে, তাঁর বাড়ি জম্মু-কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ, সেখানে এবার ভালো করেই তেরঙ্গা হয়েছে। আমার কোনও সমস্যা নেই। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিলেন কে? তাঁকে OBC বানানো হল। রিজার্ভ সিটে তাঁকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হল। সেটা কে? এগুলো তো চিহ্নিত করা দরকার আছে। পুলিস গ্রেফতার করেছে মানে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু প্রামাণ্য পেয়েছেন। তাহলে এদের যাঁরা সৃষ্টিকর্তা, বা যাদের সাহসে, প্রশ্রয়ে, আশ্রয়ে এরা লালিত-পালিত হয়েছে। এই লোকের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না'।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, 'যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসক, যারা রেজিস্টার, যারা হস্টেল সুপার, অন্যন্য প্রশাসনিক দায়িত্ব আছেন, তাঁরাও কেন পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত হবেন না? তাঁরা কেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মধ্যে আসবেন না? তাহলে তো এই ধরণের ঘটনা কখনই বন্ধ করা যাবে না। সমাধান চাই'।
আরও পড়ুন: JU Student Death: 'মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে'!