JU Student Death: 'মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে'!
রানাঘাটে স্বপ্নদীপের মামার বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা চান না,কারণ তিনি চাকরি দিতে পারবেন না', বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ব্রাত্য বসুকে প্রথমে ধরে ঢোকানো উচিত'। যাদবপুর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা চান না,কারণ তিনি চাকরি দিতে পারবেন না'।
আরও পড়ুন: JU Student death: স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্তে লালবাজারে তলব ডিন অব স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে
রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ। বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি! যাদবপুর কাণ্ডে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে পুলিশের জালে আরও ৬ পড়ুয়া। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। পুলিস সূত্রে খবর, যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁদের।
এদিকে যেদিন রানাঘাটে স্বপ্নদীপের মামার বাড়িতে গেল তৃণমূল প্রতিনিধি দল, সেদিনই যাদবপুর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাদ গেলেন না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
শুভেন্দু বলেন, 'ইউজিসি-র গাইডলাইন তো মানে না। আচার্যকে মানে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দল ও সরকারের বাইরে স্বশাসন দেওয়া রয়েছে'। তাঁর দাবি, 'উদ্দেশ্য নিয়ে এগুলো করা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে দূষিত করেছে এরা! ইউজিসি-কে মানলে এই চটিচাটা উপাচার্য, প্রো-ভিসি ভূ-ভারতে কোথাও নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আইন ভেঙে প্রো-ভিসি করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ব্রাত্য বসুকে প্রথমে ধরে ঢোকানো উচিত। এরাই গোটা ব্যবস্থাকে নোংরা করে রেখেছে'।
এর আগে, যাদবপুরকাণ্ড বামেদের নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একই সুর শোনা গেল মন্ত্রী ফিরদাহ হাকিমের গলায়। তিনি বলেন, 'যাদবপুরে যা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। মানুষের ভালো চাই না। এখানে যাঁরা বামপন্থী, যাঁরা ইউনিয়ন করেছে, হস্টেলকে বেআইনিভাবে দখল করেছে। ভয় দেখিয়ে ছা্ত্রদের নিজেদের মতাদর্শে ঢোকানোর চেষ্টা করছে'।
আরও পড়ুন: JU Student Death: হোক কলরবের হোতারা এখন বিদেশে: ব্রাত্য, নেতা তো এখন তৃণমূলের মুখপাত্র: সৃজন