Panchayat Election: `গণতন্ত্র খুন হয়েছে পশ্চিমবাংলায়`, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি!
অবশেষে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট, সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্যের সদ্যনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'গণতন্ত্র খুন হয়েছে পশ্চিমবাংলায়'। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজ্যকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার ট্যুইট, 'ব্লক, জেলা বা রাজ্যস্তরে কোনও সর্বদল বৈঠক ছাড়াই এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এক দফার নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি'।
জল্পনা বাড়ছিল ক্রমশই। অবশেষে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। কবে? ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট, সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্যের সদ্যনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আগামিকাল, শুক্রবার ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণা ১১ জুলাই।
এদিকে স্রেফ কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েতে ভোটের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, 'পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হতে পারে। কারও মৃত্যু হলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা দায়ি থাকবেন'।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছর ধরে চলছে, এইরকম রক্তপাত আড়াল করা যায় না। যেভাবে আজকে দায়িত্ব নিয়ে আজকেই ঘোষণা। কাল থেকে নমিনেশন। যেন মনে হচ্ছে, টারজান, টারজন গোছের ভাব! মানুষের জন্য কোনও ক্ষতি হয়, তার দায় নির্বাচন কমিশন ও মুখ্যমন্ত্রী অস্বীকার করতে পারবেন না'। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মতে, 'নিজের বংশবদ কাউকে নির্বাচন কমিশনার করে ভোট করাতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচন যে নিরপেক্ষ হবে না, তা এখন থেকেই বলা যায়'।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন আসছে না, কারা বলছেন, কীসের জন্য বলছেন। যাঁদের সংগঠন নেই, মানুষের উপর আস্থা নেই। ভোটে লড়ার ক্ষমতা নেই। নিজেদের রাজ্য পুলিস দিয়ে লড়েন, আর এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই'। সঙ্গে কটাক্ষ, 'একুশে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন, ৮ দফায় নির্বাচন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ইচ্ছেমতো রাজ্য অফিসার বদলি, তারপরেও তো গো-হারা হেরেছে। সুতরাং সেনাবাহিনী থাকুক, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, পুলিস থাকুক, হোমগার্ড থাকুন, সিভিক ভলান্টিয়ার থাকুক, তৃণমূল জিতবে, বিরোধীরা হারবে! নতুনত্ব কী আছে'!