কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জালে পড়ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। কোথাও জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি, কোথাও জেলা কর্মাধ্যক্ষ, কোথাও আবার খোদ মন্ত্রী গ্রেফতার হচ্ছেন। পাশাপাশি আদালতের রায়ে চাকরি যেতে শুরু করেছে স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মীদের। এদের মধ্যে রয়েছেন কোথাও তৃণমূল বিধায়কের আত্মীয়, কোথাও দলের ছোটখাটো নেতা। ফলে প্রবল চাপে সরকার। এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'মনের দিক থেকে ও খুব ভালো'; কুন্তলের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন সোমা


তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, ১৫০ জনকে চাকরি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাদের মধ্যে ৫৫ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। তাহলে কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো কি শুধু তৃণমূলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে? চাকরি হারানো ৫৫ জনের মধ্যে নাম রয়েছে সঞ্জীব সুকুলের। তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ।


সঞ্জীব সুকুলের ছবি দেখিয়ে কুণাল দাবি করেন, সঞ্জীব সুকুল শুভেন্দু অধিকারীর ডানহাত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে তাহলে শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে কেন নয়? আমরা লক্ষ্য রাখছি কীভাবে একতরফা ভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী ১৫০ জনের চাকরির সুপারিশ করেছিলেন। তাদের মধ্যে আদালতের রায়ে ৫৫ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। এখন তিনি সাধু সেজে বলে তৃণমূলের দিকে কাদা ছুড়বেন? কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুকে রেগে গিয়ে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ওকে জিজ্ঞাসা করুন কার দয়ায় ও চাকরি পেয়েছে। অর্থাত্ ও যে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে জড়িত তা প্রকাশ্যে আসছে। যে ৫৫ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে কাঁথি, পটাশপুর, সুতাহাটা, দেশপ্রাণের মানুষজন।


কুণাল ঘোষ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে বহু ভালো কাজ হয়েছে। কয়েকটা ক্ষেত্রে অন্যায় হয়েছে বা ভুল হয়েছে। ভুল হলে সংশোধন হচ্ছে। অন্যায় হলে শাস্তি হচ্ছে। কেউ অন্যায় করলে তার শাস্তি হোক। তৃণমূল কংগ্রেস তাকে বাঁচাতে যাবে না। কিন্তু সব জায়গাতেই তৃণমূল বলে যে রব তোলা হচ্ছে চা ঠিক নয়। সিপিএম জমানায় একটা হোলটাইমারের বাড়িতে সরকারি চাকরি ছিল না এমন কোনও বাড়ি ছিল না। বিজেপি সব জানে। ত্রিপুরাতে বাম জমানায় ১০,৩২৩ জনের চাকরি চলে গেছে। আমাদের প্রশ্ন শুভেন্দুকে কেন অ্যারেস্ট করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না? চাকরি বাতিলের তালিকায় ৫৬৯ নম্বরে নাম রয়েছে সঞ্জীব সুকুলের। তাকে চাকরি শুভেন্দু করে দিয়েছিল। তাকে গ্রেফতার করে কেন সুকুলের সামনে বসিয়ে জেরা হবে না? আমাদের অভিযোগ নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারি ওতপ্রতভাবে জড়িত।


কুণালের ওই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, স্নায়ুরোগে আক্রান্ত তৃণমূল। সেটি হল শুভেন্দু অধিকারী সিনড্রোম। কলকাতার চিকিত্সকরা এটা ভালো করতে পারছেন না। শুভেন্দু যদি চাকরি দিয়ে থাকেন তাহলে তিনি তা দিয়েছিলেন তৃণমূলে থাকার সময়ে। এখন তিনি বিজেপিতে। আমাদের অবস্থান, চাকরি খেয়েছে তাদের শাস্তি হোক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)