Derek Writes Foreign Ministry: মমতা-শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের আলাপচারিতাকে কটাক্ষ করে পোস্ট শুভেন্দুর, বিদেশমন্ত্রকে অভিযোগ তৃণমূলের
Derek Writes Foreign Ministry: স্পেন যাওয়ার পথে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাই বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেন বিক্রমসিংহে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্পেনে বাণিজ্য সম্মেলনে যাওয়ার পথে দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সঙ্গে সাক্ষাত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের রাজনীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। সেই কথোপকথন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুমুল কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সেই পোস্ট নিয়ে এবার বিদেশ মন্ত্রকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূল সাংসদের দাবি, শুভেন্দুর ওই কটাক্ষ ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন-কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে 'ধর্ষণ'; ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ, তোলপাড় মন্দিরবাজার
বিদেশমন্ত্রকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এককথায় অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিদেশমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে তৃণমূল। কারণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে শুভেন্দুর পোস্টের ফলে। তৃণমূলের দাবি, দুদেশের সম্পর্কই শুধু নয়, অর্থনীতি, বিনিয়োগের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বিজেপি নেতার বক্তব্যে। ভারতের বিদেশ নীতি অনুয়ায়ী বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে শ্রীলঙ্কা। দেশটির যে কোনও সঙ্কটে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে শ্রীলঙ্কার। তার মধ্যে শুভেন্দু এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য নিন্দাযোগ্য। বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু যা করেছেন তা তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার।
উল্লেখ্য, স্পেন যাওয়ার পথে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাই বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেন বিক্রমসিংহে। কথাবার্তার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রনিল বিক্রমসিংঘে প্রশ্ন করেন, আপনাকে কি একটা প্রশ্ন করতে পারি? আপনি কি বিরোধী জোটকে নেতৃত্বে দিতে চলেছেন? শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেন মমতা। তবে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, এটা মানুষের উপরেই নির্ভর করছে। অপজিশনও পজিশনে আসতে পারে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে বাংলার বাণিজ্য সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মমতাকেও শ্রীলঙ্কায় আমন্ত্রণ জানান রনিল বিক্রমসিংহে।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মমতার সাক্ষাত নিয়ে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মমতা-বিক্রমসিংহের মধ্যে একটি কাল্পনিক কথপোকথন তুলে ধরেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে(ট্যুইটার)। সেখানে শুভেন্দু লিখেন-
বিক্রমসিংহে: শুনছি আপনি আপনার রাজ্যকে শ্রীলঙ্কার মতো এক আর্থিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন?
মমতা: কীভাবে বাজার থেকে টাকা ধার করতে হয় তা যদি আমাকে শিখিয়ে দেন তাহলে আপনাকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আমন্ত্রণ করব।
বিক্রমসিংহে: আমরা তো কোনও বিনিয়োগ করতে পারব না। বেঙ্গল বিজনেস সামিটে গিয়ে কী হবে?
মমতা: কোনও চিন্তা করবেন না। আপনি আসুন। ২-৩ দিন থাকুন, একটা মৌ স্বাক্ষর করুন। সবাই আসে, মৌ সাক্ষর করে। কেউ বিনিয়োগ করে না। আমি চাই শুধু যেন ভালো হেডলাইন হয়।