নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুকে তাঁকে আয়নায় মুখ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত নিশানায় ছিলেন তিনিই। তবে বিষ্ণুপুরের সাংসদের 'বিস্ফোরণ'কে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাংবাদিকদের বিরোধী দলনেতা বলেন,'সৌমিত্রর ফেসবুক পোস্টকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি না।'      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এ দিন বলেন,'সৌমিত্র খাঁ আমার ভাই। রাজনৈতিক সতীর্থ। দিল্লি গেলে সৌমিত্রর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করি। সৌমিত্র কী বলেছে, তা নিয়ে মন্তব্য করব না। অনেকের এমন অভ্যাস আছে। সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভালো। রাজ্য মন্ত্রিসভা গঠনের দিনও তৃণমূলের বিধায়কদের ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখেছিলাম। সিরিয়াসলি কেউ নেয়নি। আজকে সৌমিত্রর ফেসবুক লাইভও সিরিয়াসলি নিচ্ছি না।'


 


এ দিন যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ফেসবুক লাইভে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তিনি বলেন,'এক নেতা এসেছেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন  তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। এখন যিনি নেতা হয়েছেন পুরো ফোকাস এক জায়গায় চলে গিয়েছে। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন।' শুধু এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি সাংসদ। দলের রাজ্য সভাপতির প্রসঙ্গে বলেন,'সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না।'


শুভেন্দু ও দিলীপের নাম না নিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণে দু'জনের হাতে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সৌমিত্র (Saumitra Khan)। তাঁর কথায়,'যেভাবে দু'জন নেতা নিয়ে চলছে তা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতেও দেখতে থাকবেন। অধিকারী, অধিকারী করছে, তাতে আমি হতাশ। বিরোধী দলনেতাকে বলব আয়নায় মুখ দেখুন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাবেন না। এভাবে চললে বাংলায় বিজেপি এগিয়ে যাবে না।'


আরও পড়ুন- দুপুরে যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা, রাতে প্রত্যাহার Saumitra-র


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)