মারা গেলেন সুজেট। বেশ কিছুদিন ধরে এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার সেন্টার ফর ট্রপিকাল মেডিক্যালে চিকিত্‍সাধীন ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তার। দুই মেয়ে ও মাকে রেখে গেলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল সুজেটের। গতকাল রাত থেকেই অঙ্গ বিকল হতে থাকায় তাকে আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। হাসপাতাল থেকে সুজেটের কফিন বন্দি দেহ তাঁর বেহালার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তার দেহ রাখা হবে পিস হাভেনে। সুজেটের বেশির ভাগ আত্মীয়ই থাকেন বিদেশে। মূলত অস্ট্রেলিয়া থেকে তার পরিবারের বেশ কিছু সদস্য কলকাতায় এসে পৌঁছনোর পরই সম্পন্ন হবে তার শেষকৃত্য।


শহর কলকাতার প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন সুজেট। পার্কস্ট্রিটে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও জোটেনি প্রশাসানিক সাহায্য। কিন্তু, দমে না গিয়ে লড়েছেন বিচারের জন্য। মুখ ঢেকে না রেখে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য নির্যাতিতার পাশে। কামদুনি কাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিবাদ মিছিলের। তবে, আজও তার ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। বিচার অধরা রেখেই চলে গেলেন সুজেট।