নিজস্ব প্রতিবেদন: রাতের শহরে অ্যাম্বুল্যান্স করে গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্বশুরের। কিন্তু ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অপহরণের কোনও চেষ্টাই হয়নি, বেপরোয়া গতির বলি হয়েছেন বৃদ্ধ। কিন্তু কেন এমন বয়ান দিলেন ট্যাংরার গৃহবধূ? বিস্মিত পুলিস কর্তারাই। অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও গাড়িতে থাকা তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাতের শহরে গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টা, বাঁচাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত শ্বশুর। মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় তাবড় গোয়েন্দাদের কপালে। জমজমাট এলাকায় বেআব্রু নিরাপত্তার ছবিটা শিউরে দেয় স্থানীয়দেরও। সকালেই থানায় অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ করেন গৃহবধূ। জি চব্বিশ ঘণ্টার সামনে ঘটনার বর্ণনা দেন ওই গৃহবধূ ও স্থানীয় কয়েকজন। 


সর্বত্র পুলিসি টহল, সিসিটিভি ক্যামেরা। তারপরেও কীভাবে শহরের বুকে এতটা বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা? তদন্তে নেমে পড়ে পুলিস। দুপুরের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অ্যাম্বুল্যান্সকে চিহ্নিত করে ফেলে পুলিস। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 


সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে চিহ্নিত করে পুলিস। বিকেলের মধ্যে মহেশতলা থেকে পাকড়াও করা হয় চালককে। ধৃত আবদুল জামালকে দফায় দফায় জেরা ও ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। দফায় দফায় কথা বলা হয় অভিযোগকারীণি গৃহবধূর সঙ্গেও। এমনকি গৃহবধূর শ্বশুর মৃত্যুকালীন বয়ানে জানিয়েছেন, তাঁরা গল্প করতে করতে যাচ্ছিলেন, আচমকা একটা অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। এরপরই নিশ্চিত হয় পুলিস। তারা জানায়, অপহরণের কোনও চেষ্টা  হয়নি, বেপরোয়া গতিতেই এই দুর্ঘটনা। ধৃত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। 


কিন্তু কেন এমন অভিযোগ করতে গেলেন গৃহবধূ? সেই প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখছে পুলিস। 


আরও পড়ুন- কলকাতা পুরভোটে গ্ল্যামার না অভিজ্ঞতা? মুকুলের সঙ্গে মতানৈক্য রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের