নিজস্ব প্রতিনিধি : সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি। আর তা দিয়ে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে বসে আইইডির আইইডি বানিয়ে ফেলল তনভির। ধৃত আল-কায়দা জঙ্গির 'হাতের কাজ' দেখে হতবাক তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আনসারুল বাংলার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ তনভিরকে মঙ্গলবার কলকাতা স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। বুধবার তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত। জেরায় তনভির তদন্তকারীদের জানায়, অত্যাধুনিক আইইডি তৈরিতে ওস্তাদ সে। তনভিরের দাবি মতো তার দক্ষতা পরখ করে দেখতে তাকে সামান্য কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম দেন তদন্তকারীরা। যার মধ্যে ছিল মাদার বোর্ড, কয়েকটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, ঝালাইয়ের যন্ত্রপাতি, ফিউজ এবং বিভিন্ন ধরনের তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের তার। তদন্তকারীদের চোখের সামনে কয়েক ঘণ্টায় এই সরঞ্জাম দিয়েই অত্যাধুনিক সার্কিট বানিয়ে ফেলে তনভির।


আদতে সিলেটের বাসিন্দা মেধাবী ছাত্র তনভির পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ইলেট্রনিক্সের প্রতি বরাবরই ঝোঁক ছিল। সেই আগ্রহেই হার্ডওয়্যারের প্রশিক্ষণ নেয় সে। সেখান থেকেই ক্রমে আইইডি বানানোয় দক্ষতা অর্জন করে তনভির। জেরায় আল-কায়দা জঙ্গি জানিয়েছে, তালিবানি প্রশিক্ষকদের কাছেই বিস্ফোরক তৈরির প্রাথমিক তালিম নিয়েছিল সে। পরে নিজেই কমম্পিউটারে ঘাঁটাঘাটি করে অত্যাধুনিক আইইডি বানানোর কৌশল রপ্ত করে সে। বিস্ফোরক বানানোর ফর্মুলাও তনভিরের নখদর্পণে। তনভিরের বানানো বিস্ফোরকের নাড়িনক্ষত্র জানতে NSG -র সঙ্গে যোগাযোগ করছে কলকাতা পুলিশ।


আরও পড়ুন, ভাইঝি হয়ে গেল স্ত্রী! আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী মনোতোষের রোমহর্ষক অতীত


প্রসঙ্গত, আফগানিস্থানে ন্যাটো বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে এই ধরণের আইইডি ব্যবহার করে তালিবান। ইরাকেও একইধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ভারতজুড়ে নাশকতার চালাতে সেই প্রযুক্তি ব্যবহারেরই ছক কষেছিল তনভিররা।