অয়ন ঘোষাল: শুধু খুন নয়। এবার শেখ সৈয়দকে অপহরণের অভিযোগ তুলল পরিবার। ঘটনার ১০ দিন পর উলুবেড়িয়া থেকে উদ্ধার হল টালা থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর শ্রীশ চন্দ্র চোধুরী লেন এর বাসিন্দা, মণীন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শেখ সৈয়দ-এর দেহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে এই দেহ দশ দিন ধরে জলে পড়ে থাকা দেহ নয়। দশ দিন জলে পচলে দেহের যা অবস্থা হত, সেই তুলনায় দেহ অনেক বেশি অক্ষত আছে। মৃতদেহের মুখের অংশ ফোলা। বেরিয়ে আছে জিভ। ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে চোখ। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হলেও এখনও রিপোর্ট জানানো হয়নি পরিবারকে।


মৃতদেহের পরনে থাকা জিন্স প্যান্টের পকেট কেটে সেখান থেকে ফোন বের করে, সেখান থেকে সিম বের করে তা ব্লোয়ার দিয়ে ড্রাই করে সেই সিম থেকেই বাড়ির লোককে ফোন করে দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে সনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়।


আর এখানেই উঠেছে দুটি গুরুতর প্রশ্ন। এই অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি সেলফি তুলতে গিয়ে কেউ জলে পরে গেলে ফোন ভেসে চলে যাওয়ার কথা। কারণ জলে পড়া ব্যক্তি নিজে বেসামাল থাকেন। নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। যখন মানসিক ভাবে মোবাইল বাঁচানো বা মোবাইল প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে রাখার যুক্তি গ্রহনযোগ্য না।


আরও পড়ুন: WB Primary SSC: তোলপাড় পর্ষদ, ভুয়ো কল লেটার নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসে পাকড়াও চাকরিপ্রার্থী


এছাড়াও পরিবারের তরফে বলা হচ্ছে দশ দিন ধরে জলে পড়ে থাকা দেহে যে পরিমাণ পচন ধরার কথা, সৈয়দের দেহে সেই তুলনায় পচন নামমাত্র দেখা গিয়েছে যখন তাঁরা দেহ সনাক্ত করতে যান। অভিযোগ উঠছে তাকে প্রথমে কিডন্যাপ করা হয়েছিল। অন্য কোথাও বন্দী করে রাখা হয়েছিল। পরে থানা পুলিস হওয়ায় শেষ রক্ষা হবে না বুঝতে পেরে খুন করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: 'অনেক দূরে থাকেন, ভারতের খোঁজ রাখেন না', অর্মত্যর 'মমতা স্তুতির' পাল্টা দিলীপ


ফলে তদন্তে বিলম্বের অভিযোগ তুলে থানায় ক্ষোভ দেখায় পরিবার।


সেলফি তুলতে গিয়ে বেসামাল হয়ে জলে পড়ে তলিয়ে গেছে সৈয়দ। এই দাবি করে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছয় বন্ধু। সৈয়দের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, এটি দুর্ঘটনা নয়। ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে সৈয়দকে। নর্থ পোর্ট থানায় ডেকে পাঠানো হয় সৈয়দের পরিবারের সদস্যদের। প্রথমে বলা হয়েছিল, তারা থানায় পৌছানোর পর তাদের নিয়ে বাগবাজার ঘাটে যাবে পুলিস। সেখানে ডুবুরি নামিয়ে দেহের খোঁজে তল্লাশি হবে। পরে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জোয়ার চলায় দেরি হবে। শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। তারা থানা চত্বরেই ক্ষোভ উগরে দেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)