WB Primary SSC: তোলপাড় পর্ষদ, ভুয়ো কল লেটার নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসে পাকড়াও চাকরিপ্রার্থী
এই প্রীতম ঘোষের কল লেটার নিয়ে কথা হয়েছিল কাকা নামে একজনের সঙ্গে। তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। তাকেও আটক করেছে পুলিস। ওই কাকা-ই প্রীতমকে বলেছিলে ওরিজিনাল অ্যাডমিট কার্ড তিনি পাইয়ে দেবেন
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বহু কাণ্ড হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এখন জেলে। অভিযুক্ত বহু প্রভাবশালী। তার পরও দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার বেপরোয়া চেষ্টার খামতি নেই। শনিবার ভুয়ো কল লেটার নিয়ে প্রাথমিকে ইন্টারভিউ দিতে এসে ধরা পড়লেন এক চাকরিপ্রার্থী। স্ক্রুটিনির সময়ে ধরা পড়ে যায় সে। প্রীতম ঘোষ নামে ওই ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী-সহ মোট ২ জনকে আটক করেছে বিধাননগর থানা।
আরও পড়ুন-বিপুল টাকা নিয়ে ১৭ জনকে চাকরি! বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই কল লেটার সে পেয়েছিল। ওই ভুয়ো কল লেটার ধরা পড়ার পরই এনিয়ে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কার কাছ থেকে সে ওই কল লেটার পেয়েছিল, এর জন্য কত টাকায় রফা হয়েছিল তা এখন জানার চেষ্টা করছে পর্যদ।
পুলিস এনিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে সূত্রে খবর, এই প্রীতম ঘোষের কল লেটার নিয়ে কথা হয়েছিল কাকা নামে একজনের সঙ্গে। তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। তাকেও আটক করেছে পুলিস। ওই কাকা-ই প্রীতমকে বলেছিলে ওরিজিনাল অ্যাডমিট কার্ড তিনি পাইয়ে দেবেন। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর থানা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে প্রীতমের সঙ্গে আরও ২ জন চাকরিপ্রার্থী ছিল। তাদেরও খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এই চক্রের জাল আরও লম্বা কিনা।
পর্ষদের আধিকারিক পার্থ কর্মকার বলেন, যখন কোনও প্রার্থী ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আমাদের অফিসে আসে তখন গেটেই কল লেটার একবার পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। ছবি, নাম, আমদের লিস্টে থাকা নাম খতিয়ে দেখা হয়। আজ সেইরকম পরীক্ষার সময়ে সন্দেহ হয় লিস্টে এই অভিযুক্তের নাম নেই। সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে জানান। আমরা পরীক্ষা করে দেখলাম আমাদের লিস্টে ওই রোল নম্বরে যে নাম রয়েছে তার সঙ্গে অভিযুক্তের নাম মিলছে না। ওই রোল নম্বরে রয়েছে অন্য জেলার অন্য একজনের নাম। তখনই পুলিসকে জানানো হয়।
এখনওপর্যন্ত কাকা বলে একজনের নাম উঠে আসছে। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। এনিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তবে পর্ষদের এই তত্পরতা যদি আগে দেখা যেত তা হলে সিস্টেম নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠত না।
অন্যদিকে, ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী ধরা পড়া নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বারবার আমরা বলেছি, তৃণমূলের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে কোনও নিয়োগ সম্ভব নয়। আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া রাজ্যে কোনও নিয়োগ সম্ভব নয়। দুর্নীতি ও সরকার এখন সমার্থক।