ওয়েব ডেস্ক: বিমানবন্দরে ফের উদ্ধার সোনা। ব্যাঙ্ককের প্লেনে, সিটের সাইড প্যানেলে লুকোনো ছিল এক কেজির বার। যার বাজার দর ২৬ লক্ষ টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩ বছরে ভারতে চোরাপথে সোনা আমদানি বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর গোল্ডরুটে সবার আগে কলকাতা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাচারের পথ বিমানবন্দর। আকাশপথে সোনা চালাচালি এখন ফিল্মেও সাবজেক্ট। বাস্তবের ছবিটাও বেশ উদ্বেগের। কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত ৩ বছরে দেশে বেড়েছে বিমানবন্দর দিয়ে সোনা পাচার
২০১৪-১৫ সালে সব বিমানবন্দরে উদ্ধার সোনার মূল্য ৪২৯.৮৪ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে দেশজুড়ে বিমানবন্দরে উদ্ধার হয় ৬৪২ টন সোনা। কেন বাড়ছে স্মাগলিং? হিসেব সহজ। এদেশে সোনা উত্‍পাদন বিশেষ হয় না। কিন্তু, চাহিদা প্রচুর। বৈধ আমদানিতে মোটা শুল্ক নেয় কেন্দ্র। তাই চাহিদা পূরণের পথ চোরাগলি।


২০১৫-য় দিল্লি বিমানবন্দরে উদ্ধার হয় ৭৬ কোটি টাকার সোনা। সোনা পাচারের ঘটনায় দিল্লি থেকে গ্রেফতার ১০০ জন। কিন্তু সোনা পাচারে সোনার সারিতে একটাই নাম, কলকাতা। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নীল নকশায়, পূর্বের প্রবেশদ্বার কলকাতা। তার ভৌগলিক গুরুত্ব দিল্লির থেকেও বেশি। দুবাই সহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ রয়েছে কলকাতার। কলকাতাই আবার ব্যাঙ্ককের মাধ্যমে দক্ষিণপূর্ব ও পূর্ব এশিয়াগুলির সঙ্গে যোগসূত্র।  


গত তিন বছরে কলকাতা থেকে সোনা পাচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ২০১৩-১৪ সালে দমদমে ধরা পড়ে ১১৩ কেজি সোনা। ওই বছর আটক সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে উদ্ধার হয়েছে ১৪৭ সোনা কেজি। ২০১৫-য় উদ্ধার সোনার মূল্য ৪০ কোটির বেশি। এত গেল পরিসংখ্যান। কিন্তু, সোনা আসে কীভাবে? স্ক্যানার এড়াতে ব্যবহার হয় অভিনব নানা পদ্ধতি। পায়ুদ্বারে লুকিয়ে সোনাপাচার। পাচার ব্যাগ-সুটকেসের  হাতলে লুকিয়ে। LED টিভির স্পিকারের নীচে লুকিয়ে পাচার। বিমানের সিটের সাইড প্যানেলে লুকিয়ে স্মাগলিং। শৌচালয়ের ডাস্টবিন দিয়ে পাচার। তদন্তকারীরা বলছেন, বিমানসংস্থার কোনও কর্মীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশ ছাড়া এভাবে সোনা পাচার সম্ভব নয়। অপরাধের পরিসংখ্যানও সেই তত্ত্বকেই সমর্থন করছে।


গত অর্থবর্ষে কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন একশোর বেশি পাচারকারী। ধৃতদের মধ্যে ৭ জন উড়ান সংস্থার কর্মীও রয়েছে। সাজানো-গুছোনো সংগঠন। চুটিয়ে ব্যবসা। অসাধু কারবারের রমরমা। কিন্তু কতদিন? অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর শেষ নেই। কারণ, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাঙ্কিংয়ের যুগেও, ভারতবাসীর সঞ্চয়ের মৌলিক পদ্ধতি এখনও সোনা। যা প্রতিদিন বাড়াচ্ছে চাহিদা। যেই চাহিদা অক্সিজেন যোগাচ্ছে চোরাকারবারের।