Haridevpur Murder: হরিদেবপুরে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, কল রেকর্ড ঘেঁটে ধৃত খুনি
২০২০ সালে ওই মহিলার বাড়িতে ডালিয়ার সঙ্গে আলাপ হয় অরুণাভর। সোমবার বিকালে ডালিয়া অরুণাভর সঙ্গে হরিদেবপুর দেখা করে। সেখান থেকে অরুণাভ ভাড়ার বাড়িতে যায়। সেখানে এক যুবকের আসার কথা ছিল।
পিয়ালি মিত্র: মঙ্গলবার সকালে হরিদেবপুরের জীবনমোহিনী ঘোষ পার্কে রাস্তায় পাশে এক মহিলার দেহ পড়ে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয় পুলিস। প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, শ্বাসরোধ করে খুন। কিন্তু তখনও মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। এরপরেই ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিস। এরপরেই চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় এই ঘটনা।
মৃতার ফোনের কল রেকর্ড থেকে জানা যায় ধৃত অরুণাভ পাত্রর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়েছে। এরপরেই মঙ্গলবার সন্ধেবেলা তাঁকে আটক করা হয়। ধৃতকে জেরা করে উদ্বার হয়েছে একটি ওড়না ও নিহত ডালিয়া চক্রবর্তীর জুতো। সেই ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে ডালিয়াকে হরিদেবপুরে নিজের ভাড়ার ফ্ল্যাট খুন করে অরুণাভ। পরে নিজের সংস্থার এক কর্মীকে টালিগঞ্জে ডেকে পাঠায়। দু’জন মিলে দেহ হরিদেবপুরে ফেলে দিয়ে যায়। পরে হরিদেবপুর এলাকায় নিজের শ্বশুরবাড়ি চলে যান অরুণাভ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আগে একটি অবৈধ সিকিউরিটি সার্ভিস চালাতেন এই অরুণাভ। পরে মধুচক্র চালাতেন এমন এক মহিলার হয়ে দালাল হিসেবে কাজ করা শুরু করে সে।
আরও পড়ুন: Haridevpur Murder: বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ, দোলের দিন রাস্তায় মিলল গৃহবধূর দেহ....
২০২০ সালে ওই মহিলার বাড়িতে ডালিয়ার সঙ্গে আলাপ হয় অরুণাভর। সোমবার বিকালে ডালিয়া অরুণাভর সঙ্গে হরিদেবপুর দেখা করে। সেখান থেকে অরুণাভ ভাড়ার বাড়িতে যায়। সেখানে এক যুবকের আসার কথা ছিল।
কিন্তু ওই ভাড়ার বাড়িতে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যে ৭.৩০টা-৮ টা নাগাদ ডালিয়ার সঙ্গে অরুণাভ কথা কাটাকাটি শুরু হয় অরুণাভ দালালির টাকা দাবি করায়।
আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya: মুখে লাল, বুকে শাহ, এ কোন দেবাংশু? বলছেন, '২০৩৬-এ সিপিএম ক্ষমতায়!'
এরপর বচসার সময় ডালিয়াকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে অরুণাভ।
তদন্তে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, খুনের পর ৭ তারিখ সকালে মধুচক্র চালান যে মহিলা তার সঙ্গে দেখা করে ওই মহিলাকে তাঁর শেয়ারের টাকা দেন তিনি। এরপর নিজের শ্বশুরবাড়ি চলে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। বাড়ি, নরেন্দ্রপুরের নয়াবাদে। ঘড়িতে তখন ৩টে। সোমবার বিকেলে বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কেন? স্বামীকে বলেছিলেন, হরিদেবপুরে একজনের কাছে পাওনা ৪ হাজার টাকা আনতে যাচ্ছেন। এরপর সন্ধেবেলা ফের স্বামীকে ফোন করেন ডালিয়া। বলেন, 'যেখানে আছি, সেখানকার লোকেশন পাঠাচ্ছি'। বস্তুত, লোকেশন পাঠিয়েওছিলেন, কিন্তু ওই গৃহবধূর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকেরা।