নিজস্ব প্রতিবেদন: নজরে ২১’এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তা মাথায় রেখেই এখন থেকে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি শাসকদল। তাই এবার আর কোনও ভুলই করতে চাইছে না ঘাসফুল শিবির। সময় থাকতেই নতুন করে ‘ম্যাচবোর্ড’ সাজাচ্ছে তারা। আর এক্ষেত্রে জঙ্গলমহলের ভোট টানতে কর্মসংস্থানের ওপর আবারও জোর দিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই জেলাগুলিতে আরও বেশি যুবক যুবতীকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এতদিন কারিগরি শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে ন‍্যূনতম যোগ‍্যতা ছিল অষ্টম শ্রেণি পাশ। কিন্তু পিছিয়ে পড়া এইসব জেলাগুলিতে পড়াশোনা করা সমস‍্যার। তার জন‍্্য‌ই রাজ‍্যের চারটি জেলায় ১০ টি আইটিআই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ‍্যতা তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে খবর।


উল্লেখ্য, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আদিবাসী অধ্য়ুষিত এলাকায় গেরুয়া শিবিরের সমর্থন বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই চিন্তিত শাসকদল। লোকসভার ভোটেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।


জঙ্গলমহলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। কেন খারাপ ফল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে কাটাছেঁড়াও হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নেত্রী অভিযোগ করেছেন, টাকা ছড়িয়ে জঙ্গলমহলে ভোট কিনেছে বিজেপি। এবার পিকের ওপর ভরসা রেখে দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করার প্রয়াসে নেমেছে শাসকদল। আর সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।


বড়বাজারের দুর্নীতি মামলায় মুকুলের হয়ে হাইকোর্টে লড়লেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য


এতে আরও বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কারিগরি শিক্ষা লাভ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। জেলাগুলি হল- পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া।


মূলত আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী ও তাঁদের পরিবারের মানুষদের এই সুবিধা দিত সরকার। এখন অন্যরাও পাবে। সেক্ষেত্রে এক বছরের প্রি- আইটিআই কোর্স করানো হবে এই সব ছাত্রছাত্রীদের। অর্থাত্ কর্মসংস্থানের ওপর ভিত্তি করেই জঙ্গলমহলের মন পেতে চাইছে শাসকদল।