নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার নবজাগরণের পুরোধা রাজা রামমোহন রায়ের কলকাতার বাড়িতে চুরির গেল মূল্যবান জিনিসপত্র। খোয়া গিয়েছে পাঁচটি জানলার সবকটি পিতলের হাতল। ঐতিহাসিক ওই বাড়িতে রয়েছে রামমোহনের ব্যবহৃত বহুমূল্য সামগ্রীও। কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য বাড়িতে সিসিটিভি কেন নেই? উঠছে প্রশ্ন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৮৫/ এ, রাজা রামমোহন সরণি। সতীদাহ প্রথার রদ করে নারীসমাজের ত্রাতা হয়েছিলেন রাজা রামমোহন। আর সেই বাড়িতেই এবার চুরির ঘটনা। বহু ইতিহাসের সাক্ষী ওই বাড়ি ঘিরে রয়েছে লড়াই ও সংগ্রামের কাহিনী। ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে রামমোহন রায়ের সেই লড়াইয়ের কাহিনির স্মৃতি ধরে রেখেছে বাড়িতে। পরতে পরতে রয়েছে বাংলার নবজাগরণের পুরোধা রাজা রামমোহন রায়ের পদধ্বনি। 



রামমোহনের বাড়িতেই বসত ব্রাহ্ম সমাজের বৈঠক। রাজা রামমোহনের উপস্থিতিতে বসত আত্মীয় সভায় আসতেন সেই সময়কার বাঘা বাঘা সব বাঙালি। রামমোহনের দুই ছেলে রাধাপ্রসাদ ও রমাপ্রসাদ থাকতেন বাড়িতে। ১৮১৫ সালে ফ্রান্সিস মেন্ডেসের কাছ থেকে বাড়িটি ১৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন রামমোহন।



স্বাভাবিকভাবেই রামমোহনের বাড়িতে চুরির ঘটনায় উদ্বেগে ইতিহাসবিদরা। বাড়ির মিউজিয়ামে রয়েছে রাজা রামমোহনের নানা ব্যবহৃত সামগ্রী। চোরেরা সেসব না নিলেও আশঙ্কাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে কি? ঐতিহাসিক দলিল দস্তাবেজ রয়েছে বাসভবনে। অমূল্য সামগ্রী থাকলেও নেই একটা সিসিটিভিও। ফলে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন নয় ঐতিহাসিক বাড়িটি। সেই কারণেই কী অবহেলিত ইতিহাস? প্রশ্নটা উঠছেই।


আরও পড়ুন- ম্যাঁ হু, অ্যায়সা সমঝ লেনা', নবান্নে রাজ ঠাকরেকে ব্যালট ফেরানোর আশ্বাস মমতার