ওয়েব ডেস্ক: বাংলার রাজনীতিতে এই প্রথমবার। না, না এবার ভোটে এমন কিছু হয়নি যা একেবারে প্রথম। খুঁজে দেখলে, তেমন জিনিসও হয়তো দু একটা পাওয়া যাবে। কিন্তু আমরা বলতে চাইছি ভোটপরবর্তী ঘটনার কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে আপনি যত নির্বাচন দেখেছেন, সবকটাতেই খেয়াল করে দেখুন যে, ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই মোটামুটি আপনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, এবার ভোটে কে জিতছে। আপনার ভাবনাটাই মিলে যেত ভোটের ফলপ্রকাশের দিনে। কি তাইতো? কিন্তু এবারের অবস্থা দেখুন। আপনিও বলে বলে মেলাতে পারবেন, এমন আত্মবিশ্বাসী একেবারেই নয়। রাজনৈতিক দলের নেতারাও বলছেন বটে জিতব। কিন্তু ঠিক কী হবে, বলার জন্য বলা ছাড়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। কেন এমন হল হঠাত্ করে? এর মূলত তিনটে কারণ।


১) এবার নির্বাচন এ রাজ্যে যেভাবে হয়েছে, মনে করে দেখুন তো আগে কবে হয়েছে! মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বলতে চেয়েছেন যে, এ জন্য বদ্ধ পরিবেশে ভোট হচ্ছে। গণতন্ত্রের উত্সবে এত নিরাপত্তার বহর কেন! অর্থাত্, এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যেমন নিশ্চিত থাকতে পারতেন, এবার আর সেটা পারছেন না। নির্বাচন কমিশন প্রথম দু' দফার পর এতটাই কড়াভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন যে, এখন পরীক্ষার্থীরাও এমনকী তাঁদের অনুরাগীরাও বেজায় ধন্ধে।


২) বাম এবং কংগ্রেস দুটো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনতিক দল অনেক ক্ষেত্রেই জোট গড়েছেন নানা সময়ে। কিন্তু তার এতটা বিপুল ব্যাপ্তি ছিল না। তৃণমূল কংগ্রেসকে সরকার থেকে সরানোর জন্য কিনা দুটো দল এক হয়ে ২৯৪ আসনের লড়াইয়ে নেমেছেন। তাই ভোটের শতাংশের হিসেব ঠিক কত হতে পারে, সবটা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না কেউ। কারণ, আগের 'রেফারেন্স' সেভাবে টানা যাচ্ছে না তো। অঙ্কটাই যে গুলিয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।


৩) এই প্রথম একা নির্বাচনে লড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস জিতছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে ছোট-বড় অনেক রাজনৈতিক দলই ছিল। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল একেবারে একা লড়ল নির্বাচনে। তাই ফল কী হবে, এর আভাস তাঁরা যে পাবেন, সেই অভিজ্ঞতাটাই তো নেই। যাই হবে, সেটাই প্রথমবার। এর পর থেকে হয়তো তাঁরা আবার আগের মতোই ফল বলতে পারবেন আগের থেকে। কিন্তু এবার থাকতে হল দোলাচলেই।